সপ্তাহে চার দিনের কর্মদিবস চালু করেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি মন্ত্রণালয়। পরীক্ষামূলকভাবে সফল হওয়ার ছয় মাস পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কমপ্রেসড ওয়ার্ক শিডিউল’ নামের এ উদ্যোগ স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে। এ নিয়মের অধীনে চার দিনে ৪০ ঘণ্টার কাজ করলে সপ্তাহে তিন দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পাবেন কর্মীরা।
নিয়মে বলা হয়েছে, মাসে দুইবার এমন সুবিধা নিতে পারবেন কর্মীরা। তবে যারা ৪০ ঘণ্টার কম কাজ করবেন তাদের জন্য আগের নিয়ম কার্যকর হবে। ফলে তাদের পাঁচ দিনের কর্মঘণ্টা বহাল থাকবে।
ইন্দোনেশিয়ার মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি ও তথ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী টেডি ভরত বলেন, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করলে, তারা চাইলে চার দিনের কর্মসপ্তাহ সুবিধা নিতে পারবেন। তবে এ সুবিধা বাধ্যতামূলক নয়, বরং এটি অনুমোদনসাপেক্ষ।
প্রথমিকভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। তবে এটি সফল হলে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরের মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে কার্যকর করা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা।
মন্ত্রণালয়ের প্রধান এরিক তোহির বলেন, তরুণ কর্মচারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। ফলে এটি তাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহার্য করবে। এটি কর্মীদের অলস বানানোর জন্য নয়। যারা নির্ধারিত ৪০ ঘণ্টা কাজ করবেন তারাই কেবল অতিরিক্ত একদিনের ছুটি পাবেন।
এক জরিপে দেখা গেছে, কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার পক্ষে অধিকাংশ কর্মী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চার দিনের কর্মসপ্তাহ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে বেলজিয়াম ২০২২ সালে চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালু করে। এ ছাড়া জাপানের কিছু শহরেও পরীক্ষামূলকভাবে চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালু হয়েছে। দেশটিতে অতিরিক্ত কাজের ফলে প্রতিবছর ৫৪ কর্মী মারা যান।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্থায়ীভাবে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করেছে যুক্তরাজ্যের ২০০টি কোম্পানি। এ ছাড়া কর্মীদের বেতন অপরিবর্তিত রাখা রয়েছে।
মন্তব্য করুন