জাপানে প্রবীণদের একাকিত্ব এবং দরিদ্রতার সমস্যা একটি গভীর সামাজিক উদ্বেগ হয়ে উঠেছে। দেশটির বৃদ্ধ জনগণের মধ্যে বেশিরভাগই একাকিত্ব এবং আর্থিক সংকটের মুখোমুখি, যার ফলে কিছু প্রবীণ মানুষ নিজেদের একমাত্র আশ্রয় হিসেবে কারাগারকে বেছে নিচ্ছেন। বিশেষত তোচিগি নারীদের কারাগারে বৃদ্ধ বন্দির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেখানে তাদের জন্য নিয়মিত খাবার, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনের শেষ পর্যায়ে যত্ন পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
২০০৩-২২ সালের মধ্যে জাপানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী বন্দির সংখ্যা প্রায় চারগুণ বেড়েছে। এই বৃদ্ধ বন্দিরা কারাগারে আসেন বিশেষত চুরির কারণে। কিছু মানুষের জন্য এটি বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। একাকিত্ব, দরিদ্রতা ও জীবনযাপনের অস্থিরতা তাদের কারাগারে আসতে বাধ্য করছে। অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধ করে কারাগারে যান। কারণ সেখানে তারা খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও মনোভাবগত সহায়তা পান।
জাপানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছেন। প্রবীণ বয়সে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সুস্থ জীবনযাপন ব্যবস্থা পাওয়ার পরও অনেকেই পরিবার বা সমাজে সঠিক সহানুভূতি না পাওয়ায় একাকিত্ব ও হতাশায় ভুগছেন।
এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জাপান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২১ সালে মন্ত্রণালয় প্রবীণদের সহায়তার জন্য নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে। বন্দিদের মুক্তি পাওয়ার পর তাদের সামাজিক পুনর্বাসন ও পরিচর্যার দিকে মনোযোগ দেয়। তবে, প্রবীণদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তাই সরকারি উদ্যোগ যথেষ্ট হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তথ্য : সিএনএন
মন্তব্য করুন