মিয়ানমারের জান্তা সরকার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৬ হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ১৮০ বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করার পর, দেশটি বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে। জান্তা সরকারের এ সিদ্ধান্তটি আসছে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে, যা তারা এ বছর আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে।
শনিবার (০৪ জানুয়ারি) মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
জান্তা সরকার বলেছে, তারা ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে। তবে, বিরোধী দলগুলো এ পরিকল্পনাকে ভুয়া ও প্রপাগান্ডা হিসেবে বিবেচনা করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সামরিক জান্তার হাতে বন্দিদের মধ্যে দেশটির সাবেক নেতা অং সান সু চি ও তার সহকর্মীরা আছেন, যারা বর্তমানে বিভিন্ন অভিযোগে কারাবন্দি। ৭৯ বছর বয়সী সু চি, যাকে ২০২১ সালে জান্তা সরকার ক্ষমতাচ্যুত করে, ১৪টি ফৌজদারি অভিযোগে ২৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
অভিযোগগুলোর মধ্যে উসকানি, নির্বাচনে কারচুপি ও দুর্নীতি রয়েছে, যদিও সু চি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানান তার আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।
এদিকে, বন্দিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, জান্তা সরকারের এই পদক্ষেপে তাদের শাসনব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মন্তব্য করুন