দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনার পর দেশটিতে আকাশ পথে ভ্রমণ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বহু মানুষ তাদের বিমান ভ্রমণের জন্য কেটে রাখা টিকিট বাতিল করেছেন। মূলত, ১৮১ আরোহী নিয়ে গত রোববার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্তের পর দেশটিতে বিমানে ওঠা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার এক প্রতিবেদনে ফ্লাইট বাতিলের এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু। বার্তা সংস্থাটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হওয়ার পর হাজার হাজার দক্ষিণ কোরিয়ান তাদের ফ্লাইটের টিকিট বাতিল করেছেন।
দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের তথ্য অনুসারে, জেজু এয়ার জানিয়েছে- প্রায় ৬৮ হাজার ফ্লাইট রিজার্ভেশন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৩৩ হাজারেরও বেশি টিকিট বাতিল করা হয়েছে। আর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুটের টিকিট বাতিল হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি।
রোববার ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াসহ পুরো বিশ্ব। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে দেশটির অভ্যন্তরীণ বেসরকারি বিমান সংস্থা জেজু এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ১৭৯ জন। ১৮১ আরোহী নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই বিমানের কেবল দুজন বেঁচে গেছেন। ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
বিমানটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে বিধ্বস্ত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তারা পাখির সঙ্গে বিমানের সম্ভাব্য সংঘর্ষের দিকেও মনোনিবেশ করছে।
তবে সোমবার কিছু বিশেষজ্ঞ এবং পর্যবেক্ষক বিমানবন্দরে রানওয়ের পাশে কংক্রিটের ঢিবির অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এটি না থাকলে দুর্ঘটনায় এত বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা রোধ করা যেত কিনা সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক প্লেন দুর্ঘটনা। এর আগে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। সে সময় এয়ার চায়নার একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১২৯ জন নিহত হন।
মন্তব্য করুন