কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ এএম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সিউলের একটি আদালত এ আদেশ জারি করেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে এ পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়। বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একাধিক তদন্তের মুখোমুখি ইউন। গত দুই সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আদেশ উপেক্ষা করেন তিনি। অবশেষে কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হওয়ার তিনটি সমন উপেক্ষা করার পরে এই পরোয়ানা এলো।

রোববার রাতে তদন্তকারীরা বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন। এ পদক্ষেপকে তার আইনজীবীরা অবৈধ বলে বর্ণনা করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া স্বল্পকালীন সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। ইউন এবং তার একজন উত্তরসূরিও পার্লামেন্ট দ্বারা অভিশংসিত হয়েছেন।

দেশটির পরিস্থিতি বলছে, ইউন সুক যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। এটি বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক নয়। বর্তমান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হতে পারে অথবা অন্য কোনো কারাগারেও পাঠাতে পারেন আদালত।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে আটদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার পার্লামেন্টে ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়। এতে বেশিরভাগ সদস্য তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। পার্লামেন্টে অভিশংসনের জন্য দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। গোপন ব্যালটের এ ভোটে ৩০০ সদস্যই অংশ নিয়েছেন। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যসহ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি পদে বহাল থাকবেন। তবে কোনো নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন না তিনি।

ভোটের পর এক বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউন। তিনি বলেন, যদিও আমি আপাতত বিরতি দিচ্ছি, তবে গত আড়াই বছরে জনগণের সাথে আমার ভবিষ্যতের জন্য যাত্রা থামানো উচিত নয়। আমি যে উত্সাহ এবং সমর্থন পেয়েছি তা আমি আমার সাথে বহন করব এবং আমি শেষ অবধি জাতির জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। পরে অবশ্য বিরোধীদের আপত্তি ও সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যম আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিরামিড তৈরির প্রায় এক হাজার বছর আগে নির্মিত হয় স্টোনহেঞ্জ

৭০ লাখ টাকার হাঁসের ডিম বিক্রি যে হাটে

টেসলাকে কি টেক্কা দেবে চীনের বিওয়াইডি?

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা নামল ৮ ডিগ্রিতে

০৩ জানুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে

কুয়াশার চাদরে রাজধানী, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে ধরিয়ে দিল ছাত্রদল

কেজিতে ১ টাকায় মিলছে মুলা ও ফুলকপি

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

০৩ জানুয়ারি : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের

১১

বিদেশিদের ষড়যন্ত্র আমাদের রুখতে পারবে না : বাবুল

১২

কাভার্ডভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ২

১৩

তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে খুবির এমওইউ স্বাক্ষর

১৪

নিখোঁজের ৬ দিন পর যুবকের মাটিচাপা লাশ উদ্ধার

১৫

ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফরহাদ, সম্পাদক মহিউদ্দিন

১৬

সুশাসন নিশ্চিতে বিচারব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন : এমরান চৌধুরী

১৭

কুড়িগ্রামে যুবলীগ নেতা হাসেম আলী গ্রেপ্তার

১৮

চট্টগ্রামের কাঠালবাগান পাহাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ

১৯

রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিল, ১২ ঘণ্টা পর মুক্ত প্রশাসন

২০
X