কাজাখস্তানের আক্তাও শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে যাত্রাকালে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে যাত্রীদের আল্লাহর নাম স্মরণ করতে শোনা গেছে।
বৃহস্পতিবার ( ২৬ ডিসেম্বর) দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের শেষ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেছেন এক যাত্রী। এতে সেই সময়ের ভয়াবহ পরিস্থিতির বিষয়টি উঠে এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যাত্রী পড়ছেন, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু...ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার আবদুহু ওয়া রসুলুল্লাহ। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। এ সময় বিমানে এক যাত্রীকে ফ্লোরে পড়ে থাকতেও দেখা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিমানটি স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে আজারবাইজানের বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রোজনির উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে মাঝ আকাশে গ্রোজনিতে ঘন কুয়াশার খরব পান পাইলট। ফলে বিমানটি কাজাখস্তানে অবতরণের চেষ্টা করেন তিনি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুমতিও চান তিনি। তবে প্রক্রিয়া শেষ করার আগেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
কাজাখস্তানের সরকার জানিয়েছে, বিধ্বস্তের পর দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় তিন শিশুসহ ২৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। ফলে পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। অনেকে আবার বলছেন, মাঝ আকাশে একঝাঁক পাখির সঙ্গে বিমানটির ধাক্কা লাগে। ফলে জরুরি অবতরণে বাধ্য হন পাইলট।
কাজাখস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে কারিগরি ত্রুটি বা অন্য কোনো সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
আজারবাইজান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের আওতাধীন ছিল। তবে আকস্মিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় এটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছিল।
মন্তব্য করুন