আফগানিস্তানের একটি নিভৃত গ্রামে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে গ্রামটি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন জানিয়েছে, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এ সময় তারা দেশটির বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।
তালিবানের উপমুখপাত্র হামদুলিল্লাহ ফিতরাত বলেন, আফগানিস্তানের অন্তত ৪টি জায়গায় এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান সরকার ও দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা।
আফগানিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খাওয়ারিজমি বলেন, আফগানিস্তান এই নৃশংস কর্মকাণ্ডকে সমস্ত আন্তর্জাতিক নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আগ্রাসী আচরণ বলে বিবেচনা করছে। ইসলামী আমিরাত এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নিরুত্তর থাকবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রতিবেশী এ দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, তাদের দেশে সংঘটিত বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলা আফগানিস্তানের মাটি থেকে করা হয়েছে। তেবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে আফগানিস্তান।
মার্চের পর থেকে পাকিস্তানি তালেবানদের কথিত আস্তানায় দ্বিতীয়বারের মতো এই ধরনের হামলা হলো। উভয় হামলাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরে হামলার ঘটনায় সীমান্ত অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের সঙ্গে স্থানীয় সাধারণ মানুষ যোগ দিয়েছেন। তারা বলছেন, পাকিস্তান থেকে যুদ্ধবিমান আসতে তারা দেখেছেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোমা ফেলা শুরু হয়। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শান্ত গ্রামগুলো। যে পরিমাণ বোমার বর্ণনা তারা দিচ্ছেন তাতে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এর আগে গত মার্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে দুচি বিমান হামলার অভিযোগ করা হয়। এতে অন্তত নারী ও শিশু নিহত হয়। এ হামলার পর পাকিস্তান জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন