কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাখাইনের পর চিন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ দাবি বিদ্রোহীদের

জান্তাবাহিনীর দখল করা একটি ঘাঁটিতে চিন ব্রাদারহুডের সদস্যরা। ছবি : ইরাবতি
জান্তাবাহিনীর দখল করা একটি ঘাঁটিতে চিন ব্রাদারহুডের সদস্যরা। ছবি : ইরাবতি

মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের চিন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ব্রাদারহুড। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

চিন ব্রাদারহুডের মুখপাত্র ইয়াও ম্যাং জানান, তারা চিন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকা মুক্ত করেছে। মিনদাত ও কানপেটলেট শহরের দখল নেওয়ার পর বিদ্রোহীরা এখন উত্তরের ফালাম শহরে জান্তার শেষ ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, রাজ্যটির রাজধানী হাক্কা, ফালাম, তেদিম ও থানটালাং শহরে জান্তার কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছে। পালেতাওয়া, মাতুপি, কানপেটলেট এবং মিনদাত শহর সম্পূর্ণ মুক্ত করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) মুক্ত শহরগুলো থেকে ১৩ জন রাজনৈতিক বন্দিকেও মুক্ত করা হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কার্যক্রম

চিন ব্রাদারহুড মূলত বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত। এতে ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স, স্যাগাইন অঞ্চলের গ্যাংগাও জেলার ইয়াও আর্মি এবং মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা রয়েছেন। এ গোষ্ঠী চলতি বছরের ৯ নভেম্বর থেকে ‘অপারেশন সিবি’ নামে একটি বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে।

বিদ্রোহীরা জানায়, তাদের আক্রমণের মুখে ১৬৮ জন জান্তা সেনা ও পুলিশ আত্মসমর্পণ করেছে। এ পর্যন্ত ৩০০ জন জান্তা সেনা বন্দি হয়েছে, যাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

রাখাইনের বিদ্রোহীদের সহযোগিতা

চিন ব্রাদারহুড দাবি করেছে, রাখাইনের আরাকান আর্মি তাদের অস্ত্র, রসদ এবং কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এর আগে আরাকান আর্মি রাখাইনে জান্তার আঞ্চলিক সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। এরপর থেকে দেশটিতে সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, মিয়ানমারের মাত্র ২১ শতাংশ ভূখণ্ডে সামরিক বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। বাকিটা বিদ্রোহীদের দখলে অথবা সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ধারাবাহিক সাফল্যে মিয়ানমার জান্তার শক্তি ও নিয়ন্ত্রণ দ্রুত ক্ষীণ হয়ে পড়ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফুটপাতের দেড় শতাধিক দোকান উচ্ছেদ

শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

মিষ্টি পান চাষে সফল জহুরুল

যিশুখ্রিস্টের জন্মদিনে যত উল্লেখযোগ্য ঘটনা

কনকনে শীতে বিপাকে পঞ্চগড়ের মানুষ

ভূমধ্যসাগরে ডুবল রুশ জাহাজ, যা বলছে মস্কো

হুমকিতে পদ্মা সেতুসহ ডান তীররক্ষা বাঁধ

যমুনার বুকে একখণ্ড ক্রিকেট মাঠ

আজকের নামাজের সময়সূচি

বগুড়ার আলোচিত তুফান সরকার কারাগারে

১০

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১১

দুই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা

১২

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান

১৩

জামায়াত-শিবিরকে পুরোনো শকুন বললেন অধ্যক্ষ

১৪

পূজা পরিষদ নেতা শিব প্রসাদের পরলোকগমন

১৫

চাঁদপুরে সেভেন মার্ডারের ঘটনায় মামলা

১৬

ফেক পেজ খুলে অপপ্রচারের অভিযোগ ঢাবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে 

১৭

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলা, জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী

১৮

ইউআইইউ এবং গ্রামীণফোনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

১৯

ঢাকা কলেজে এক ঘণ্টায় ৭ ককটেল বিস্ফোরণ

২০
X