তাইওয়ান প্রণালিতে মার্কিন নৌবাহিনীর গুপ্তচর বিমানের আনাগোনা লক্ষ করা গেছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এমন একটি বিমান প্রণালিজুড়ে উড়তে দেখা যায়। এ সময় সতর্ক হয়ে ওঠে স্থানীয় বাহিনী।
আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইপেই এক বিবৃতিতে ওই তথ্য জানিয়েছে। বলেছে, শুক্রবার একটি মার্কিন নৌবাহিনীর গুপ্তচর বিমান তাইওয়ান প্রণালির ওপর দিয়ে উড়েছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন পি-৮ বিমানটি দক্ষিণ থেকে উত্তর হয়ে প্রণালি অতিক্রম করে।
মন্ত্রণালয় এক্স-বার্তায় বলেছে, ওই সময় তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে পাশের সমুদ্র এবং আকাশসীমার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের এই ধরনের কার্যক্রম চীনের ক্ষোভ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। চীন তাইওয়ানকে তার বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে দাবি করে। পশ্চিমারা স্বাধীন তাইওয়ান গঠনে উসকানি দিয়ে আসছে। প্রদেশটিতে পরিকল্পিত জনবিক্ষোভ সৃষ্টি এবং গোয়েন্দা উসকানিরও অভিযোগ করে আসছে চীন।
অপরদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন মিত্ররা তাদের সামরিক বিমান উড্ডয়ন এবং যুদ্ধজাহাজ পাড়ি দেওয়ার জন্য জলপথের অধিকার দাবি করে।
তিন সপ্তাহের মধ্যে এই দ্বিতীয়বার তাইওয়ান প্রণালির ওপর দিয়ে মার্কিন নৌ বিমান উড্ডয়ন করল।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ান তার জলসীমায় চীনের উপস্থিতিও ভালো চোখে দেখে না। সম্প্রতি কিনমেন দ্বীপের সংরক্ষিত জলসীমায় চীনের কোস্টগার্ডের ৪টি জাহাজ ঢুকে পড়ার পর উত্তেজনা দেখা দেয়। তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রিত ওই দ্বীপের জলসীমায় জাহাজগুলো ঢুকে পড়ে। এরপর তাইওয়ানের কোস্টগার্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-সিজিএ চীনা জাহাজগুলোকে সতর্ক করে দেয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সিজিএর জাহাজগুলো চীনের কোস্টগার্ডের জাহাজগুলোকে অনুসরণ করছে। এ সময় সিজিএর জাহাজ থেকে তাদের ওই এলাকা ছাড়তে লাউডস্পিকারে নির্দেশ দিতেও শোনা যায়। পরে এক বিবৃতিতে সিজিএ জানায়, জিয়ামেন থেকে ৩টি ও কুয়ানঝৌ থেকে চীনা কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ তাদের রাডারে ধরা পড়ে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কিনমেন ও মাৎসু দ্বীপের জলসীমায় চীনের জাহাজ ৪৮ বার দেখা গেছে বলে দাবি করেছে সিজিএ।
মন্তব্য করুন