চীন ঘোষণা করেছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি সামরিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। চীনের এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে, যা চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনক।
চীন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান, রাডার এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশের বিক্রি বন্ধ করতে চাইছে, যা যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে বিক্রি করতে যাচ্ছে। চীনের দাবি, এটি তাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।
এদিকে, দক্ষিণ চীন সাগর, ইউক্রেন ইস্যু এবং চীনের সামরিক শক্তির উত্থান নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ঠেকাতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সোমবার (০২ ডিসেম্বর) চীনকে সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা ব্যবহার করতে পারলে চীনের সামরিক ক্ষমতা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে কাজে লাগতে পারে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো চীনকে এআই চিপ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, যা ২০২৩ সালের অক্টোবরে আরও কঠোর হয়। চীন থেকে নতুন প্রযুক্তি রপ্তানি, সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন ঠেকানোর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপ প্রতিনিয়ত নিচ্ছে।
এভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সামরিক ক্ষেত্রে উত্তেজনা আরও তীব্র হচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ বেশ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন