প্রতি বছরে অন্তত ডজনখানেক ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয় এশিয়ার দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের দেশ ফিলিপাইন। এবার দেশটিতে ধেয়ে আসছে নতুন সুপার টাইফুন ম্যান-ই। ১৮৫ কিলোমিটার বেগে এটি আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যান-ইর প্রভাবে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডজনখানেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। শক্তিশালী এ ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যাসহ ভয়াবহ ঠেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লুজন দ্বীপের পূর্বাঞ্চলে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে এটি আঘাত হানতে যাচ্ছে। এর ফলে আবহাওয়া বিভাগ ক্যাটান্ডুয়ানস এবং ক্যামারিনিস সুর রাজ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। শনিবার রাতে বা রোববার সকালে এটি আছড়ে পড়তে পারে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রধান এরিয়েল নেপোমুসেনো টাইফুনের সম্ভাব্য গতিপথের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ মানার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ম্যান-ইর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। এর ফলে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, ভূমিধস-প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে। এছাড়া এর প্রভাবে ঝড়ের ঢেউ ১০ মিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা ডিজেডআরএইচ রেডিওকে বলেন, অঞ্চলের ছয়টি প্রদেশ থেকে পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে ঝড়টি ক্যাটান্ডুয়ানস থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছে। শনিবার গভীর রাতে বা রোববার সকালে এটি আছড়ে পড়তে পারে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০টি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানে। এর ফলে দেশটিতে ভারি বৃষ্টিপাত, প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং মারাত্মক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার তথ্যমতে, অক্টোবরে দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজানে ঘূর্ণিঝড় ট্রামি এবং কং-রের লুজোনের আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ১৫৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এখনো ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
মন্তব্য করুন