কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভয়াবহ এক অস্ত্র উৎপাদনের নির্দেশ দিলেন কিম

সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে কিম জং উন। ছবি : সংগৃহীত
সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে কিম জং উন। ছবি : সংগৃহীত

রুশ সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। শুধু তাই নয়, পুতিনকে অস্ত্র ও গোলাবারুদও দিচ্ছে কিম জং উনের দেশ। এমন জোরাল অভিযোগ পশ্চিমাদের। এ নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও তাতে পাত্তাই দিচ্ছে না পিয়ংইয়ং-ক্রেমলিন। উল্টো পশ্চিমা উদ্বেগ আর হুঁশিয়ারির মধ্যেই এবার ভয়ংকর এক অস্ত্র উৎপাদনের নির্দেশ দিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এই অস্ত্র তৈরিতে দেশটিকে সহায়তা করছে রাশিয়া। কারণ, উৎপাদন শেষে এগুলো তুলে দেওয়া হতে পারে রুশ সেনাদের হাতে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সুইসাইড ড্রোন বা আত্মঘাতী ড্রোনের হামলা চালানোর সক্ষমতা দেখেছেন কিম। নির্দেশ দিয়েছেন— এ ধরনের আত্মঘাতী ড্রোন বিপুল সংখ্যায় উৎপাদনের।

এবারই প্রথম নয়, এর আগে গেল বছরও আত্মঘাতী ড্রোনের পরীক্ষা দেখেছিলেন কিম। ওই বছরই রাশিয়ার সাথে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে উত্তর কেরিয়া। এর অধীনে মস্কোকোকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে পিয়ংইয়ং। বিপরীতে অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি সামরিক খাতে কিমের দেশকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে পুতিন প্রশাসন।

বলা হচ্ছে, সেই সহযোগিতার ওপর ভর করেই আত্মঘাতী ড্রোন তৈরিতে উঠেপড়ে লেগেছে উত্তর কোরিয়া। তবে, এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে দুই দেশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সুইসাইড ড্রোন কী?

এটি অত্যাধুনিক এক ড্রোন। যা আত্মঘাতী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কারণ ড্রোনগুলো কিছু সময় ধরে আকাশে ঘুরে বেড়ায় এবং লক্ষবস্তুতে গিয়ে আছড়ে পড়ে নিজেকে বিস্ফোরিত করে টার্গেটকে নির্মূল করে দেয়। ইউক্রেন যুদ্ধ বা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংঘর্ষে, যেখানে বড় বড় অস্ত্র ব্যবহারের পরিবর্তে এসব ড্রোনগুলো সাশ্রয়ী, নির্ভুল এবং দক্ষ উপায় হিসেবে কাজ করছে।

এই ড্রোনগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে হামলা করতে ব্যবহার করা হয়। যেমন- সেনা সরঞ্জাম, যুদ্ধাস্ত্র বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এগুলোর ডিজাইন এমনভাবে করা হয়, যাতে তারা একবার লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর পর আর ফিরতে পারে না; অর্থাৎ, লক্ষ্যভেদে তারা নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইন মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে গৃহীত কার্যক্রম

উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন স্থগিত করলেন শিক্ষার্থীরা

একশ টাকাই কি কাল হলো মোস্তাফিজের

রাবি সিওয়াইবি​​​​​​​র সভাপতি মুরাদ, সম্পাদক মুন

এবার মহাসমাবেশের ডাক সাদপন্থিদের

হলিউড মিউজিক ইন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত এ আর রহমান

‘খালেদা জিয়ার আমলে দেশে কোনো লুটপাট হয়নি’

খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় জাপার টিপু কারাগারে

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন : ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দিনের স্বপ্ন

রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরের মৃত্যু

১০

‘সরকারি নির্মাণে ২০২৫ সালে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে’

১১

ট্রাম্পের গোয়েন্দাপ্রধান কে এই তুলসি গ্যাবার্ড

১২

বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন নুরুল হক নুর

১৩

ভোলায় বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১

১৪

এক বছর ধরে বন্ধ উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন

১৫

বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার ৩০ বছরে দ্বিগুণ : গবেষণা

১৬

অনুশীলনের মাঝে ছুটিতে লঙ্কান কোচ

১৭

ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে আছে : আইন উপদেষ্টা

১৮

২২ ক্ষুদে মেধাবীর ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াডের ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ

১৯

দ্বিতীয়বার অর্জিত স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যায় না : ইউট্যাব

২০
X