আকাশে মাইলের পর মাইল ছেয়ে গেছে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে। ফলে বিমান চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য বিমান চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করেছে বিভিন্ন কোম্পানি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, আগ্নেয়গিরির প্রভাবে আকাশে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাই ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে ইন্দোনেশিয়ার বালি ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন কোম্পানগেুলো। বুধবার জেটস্টার এবং ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ইন্দোনেশিয়ার ডেনপাসার থেকে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
জেটস্টারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট লেওটোবি অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আকাশে আগ্নেয়গিরির ছাই ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বর্তমানে বালি এবং সেখান থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করা নিরাপদ নয়।
কান্তাস এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনা ব্যাহত হয়েছে। বিষয়টি এসব যাত্রীদের অবহিত করা হয়েছে। এজন্য এসব যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ফ্লাইট ট্রাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্যমতে, এয়ারএশিয়াও দ্বীপটি থেকে তাদের বিমান চলাচল বাতিল করে দিয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, দর্শনীয় স্থান হিসেবে স্বর্গের ন্যায় সুন্দর বালির আন্তর্জাতিক পর্যটনের সবচেয়ে বড় উৎস হলো অস্ট্রেলিয়া। গেল জুলাই মাসে এ দ্বীপটিতে ছয় লাখ ২৫ হাজার ৬৬৫ জন পর্যটক এসেছেন। এরমধ্যে চারভাগের এক ভাগই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি বালি থেকে ৫০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এ অঞ্চলে গত ৩ নভেম্বর থেকে একের পর এক অগ্ন্যুৎপাত ঘটছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরির কারণে অন্তত ৯ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১১ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি এবং ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয় প্রশমন কেন্দ্র জানিয়েছে, শুক্রবার অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বিশাল ছাইয়ের কুণ্ডলি তৈরি হয়েছে। এর ফলে আকাশে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাই ছড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ার অঞ্চলে অবস্থিত। ফলে এলাকাটি প্রাকৃতিকভাবে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্পের জন্য সংবেদনশীল।
মন্তব্য করুন