এবার নতুন বিপদের মুখোমুখি ইউক্রেন। দেশটির বিরুদ্ধে রাশিয়ায় গোপনে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এবার তারা যোগ দিয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। অন্যদিকে নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় যুদ্ধে মার্কিন সহায়তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা মঙ্গলবার রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। একই দিনে মার্কিন ভোটাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন। তিনি ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
সন্ধ্যার ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সঙ্গে প্রথম যুদ্ধ বিশ্বে অস্থিতিশীলতার একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। যুদ্ধকে সম্প্রসারিত করার জন্য রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ রুখতে আমাদের সবকিছু করতে হবে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, সেনাদের সঙ্গে ছোট ছোট সংঘর্ষ হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সেনারা আলাদাভাবে লড়াই করছে না। তারা রাশিয়ান ফেডারেশনের বুরিয়াতের ছদ্মবেশে রাশিয়ান ইউনিটগুলোতে যুক্ত হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
গত শনিবার (০২ নভেম্বর) ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা (জিইউআর) জানায়, রাশিয়া অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সাত হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনাকে ইউক্রেনের নিকটবর্তী এলাকায় স্থানান্তর করেছে। ২৮টি রুশ বিমানে তাদের পরিবহন করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের মর্টার, অ্যাসল্ট রাইফেল এবং মেশিনগান দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেনের কমান্ডার-ইন-চিফ ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেন, রাশিয়া কুর্স্ক থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হঠানোর জন্য ৪৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে তারা।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলে রাশিয়ার পর্যাপ্ত সেনা নেই। ফলে তারা উত্তর কোরিয়ার সেনাদের এসব এলাকায় মোতায়েন করছে। তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে রাশিয়ার প্রায় ২১ হাজার সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র আট হাজার সেনা মারা গেছে।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হলেও রাশিয়া বা পিইয়ংইয়ং যুদ্ধে সেনা নামানোর কথা স্বীকার করেনি। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে ইউক্রেন তাদের গুলি করতে পারে।
মন্তব্য করুন