যোদ্ধাবাজ ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ৬০তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে মার্কিন মসনদের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন স্ট্রং ম্যান খ্যাত এই নেতা। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মোড় নেয়ার প্রত্যাশা করছে এক সময়কার মার্কিন দখলদারিত্বের কবলে থাকা আফগানিস্তান।
২০০১ সালে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে আফগানিস্তনে আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। তারপর দীর্ঘ দুই দশক পর সালে আরেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। যা শেষ হয় ২০২১ সালে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে। এবার নির্বাচনে জিতেই নতুন করে যুদ্ধ শুরু না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প, এমনকি চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার আশাও দেখান তিনি।
ফলে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালেবান প্রশাসন মনে করছে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মোড় নিতে পারে। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বালখি জানান, ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন মার্কিন প্রশাসন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাস্তব অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য একটি বাস্তবসম্মত পন্থা অবলম্বন করবে। যা উভয় দেশকে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় খোলার সুযোগ দেবে।
এ সময় দোহা চুক্তির কথা উল্লেখ করে তালেবানের এ কর্মকর্তা জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাত, বিশেষ করে গাজা ও লেবাননে চলমান বর্বরতা ও আগ্রাসন বন্ধ করতে একটি গঠনমূলক ভূমিকা গ্রহণ করবেন।
এদিকে কমলা হ্যারিসের পরাজয় নিয়েও খোচা দিতে ছাড়েননি তালেবান কর্মকর্তারা। কান্দাহারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান ইনামুল্লাহ সামানগানি এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে লিখেন- আমেরিকানরা বলেছিল অবশেষে একজন মহিলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, যা কখনও ঘটেনি। এ ঘটনার পর কেউ বিশ্বাস করবে না কমলা কখনো প্রেসিডেন্ট হবেন। আমেরিকানরা তাদের মহান দেশের নেতৃত্ব একজন নারীর হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত নয়। অশেতাঙ্গ এবং অভিবাসীদের ভোট বাদ দিলে হয়তো কম আমেরিকানরাই মিসেস হ্যারিসকে ভোট দিত।
মন্তব্য করুন