আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিইএম) দীর্ঘতম পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পূর্ব উপকূলে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া নিশ্চিত করেছে যে তারা পূর্ব উপকূলের পানিসীমায় একটি নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এ ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘসময় আকাশে ছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশটির উন্নত অস্ত্র বিকাশের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি শত্রুদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
কিমকে উদ্ধৃত করে কেসিএনএ জানিয়েছে, টেস্ট-ফায়ার হলো প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাল্টা জবাবের জন্য একটি উপযুক্ত সামরিক পদক্ষেপ। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে আঞ্চলিক পরিস্থিতিকে বাড়িয়ে তুলেছে এবং সম্প্রতি আমাদের প্রজাতন্ত্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেছে তাদের জন্য জবাব এটি। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পূর্ব সাগর বা জাপান সাগরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে শনাক্ত করা হয়।
পরে জেসিএস জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এটি উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য নতুন উন্নত কঠিন-জ্বালানি বুস্টারের সম্ভাব্য পরীক্ষা।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ওকুশিরি দ্বীপের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পশ্চিমে দেশটির উত্তর হোক্কাইডো অঞ্চল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি পিয়ংইয়ংয়ের অতীতের যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দীর্ঘতম সময় উড়েছে। প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে এটি ভিন্ন হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্রটি ৮৭ মিনিট আকাশে অবস্থান করেছে, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষে উৎক্ষেপণ করা আইসিবিএমের চেয়ে বেশি। এর আগে এটি ৭৩ মিনিট অবস্থান করেছিল। এটি সাত হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব উড়েছিল।
মন্তব্য করুন