চীনের শীর্ষ ধনীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিং (৪১) । বর্তমানে দেশটির শীর্ষ ধনী তিনি। গত এক বছরে তার সম্পদের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাইটড্যান্সের প্রতিষ্ঠাতার ব্যক্তিগত সম্পদ ৪৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পাঁচ হাজার ৯১৬ বিলিয়ন টাকা (ডলারপ্রতি ১২০ টাকা ধরে)।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ‘হুরুন চায়না রিচ লিস্ট ২০২৪’ নামের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৬ বছর ধরে এ তালিকা প্রকাশ হয়ে আসছে এবং ঝাং ইমিং এ তালিকায় ১৮তম অবস্থানে রয়েছেন।
এদিকে ধনীদের তালিকায় টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ইমিং গত বছরের শীর্ষ ধনী ঝং শানশানকে ছাড়িয়ে গেছেন। ঝং নংফু স্প্রিং নামে একটি বোতলজাত পানি ও সফট ড্রিংক কোম্পানির মালিক। তিনি ২৪ শতাংশ সম্পদ হারিয়ে ধনীদের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছেন, তার মোট সম্পদ এখন ৪৭দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রে আইনি সমস্যায় পড়েছে টিকটক। এরপরও ২০২৩ সালে বাইটড্যান্সের রাজস্ব ৩০ শতাংশ বেড়ে ১১০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা ঝাংয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ধনীদের প্রথম এবং দ্বিতীয় তালিকার পর তৃতীয় স্থানে আছেন টেনসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা পোনি মা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চীনে ধনীর সংখ্যা কমছে। অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার সম্পদের অধিকারী ১৪২ ব্যক্তি গত এক বছরে এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বর্তমানে চীনে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৭৫৩, যা ২০২১ সালের সর্বোচ্চ সংখ্যার থেকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কম।
বিশ্লেষকরা জানান, অর্থনৈতিক মন্দা এবং দুর্বল পুঁজিবাজারের কারণে অনেকেই তাদের সম্পদ হারিয়েছেন। বিশেষ করে আবাসন এবং টেকসই জ্বালানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
উল্লেখ্য, ঝাং ইমিং ২০১২ সালে বাইটড্যান্স প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে এখনো বাইটড্যান্স প্রতিষ্ঠানে তার মালিকানা ৫০ শতাংশেরও বেশি।
মন্তব্য করুন