ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ট্রামি’র কারণে বন্যা ও ভূমিধসে মৃত এবং নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ৮৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঝড়টি উত্তর-পশ্চিম ফিলিপাইনে আঘাত হানে, যার ফলে দেশটির অনেক অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসের মতো বিপর্যয় ঘটেছে।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত অন্তত ৮৫ জন মারা গেছেন এবং ৪১ জন নিখোঁজ (এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত)। মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কারণ অনেক এলাকায় এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে শনিবার (২৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
ঝড়ের কবলে পড়া দেশটির উদ্ধারকর্মীরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে দিনরাত কাজ করছেন। ফিলিপাইন বাটাঙ্গাস প্রদেশের তালিসে শহরে, কয়েক ডজন পুলিশ ও দমকলকর্মী প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। এদিকে শহরের একটি বাস্কেটবল মাঠে একাধিক সাদা কফিন রাখা হয়েছে, যেগুলোতে বন্যা ও ভূমিধসে উদ্ধারকৃত মৃতদের দেহ রাখা হয়েছে।
ঝড়ে বন্যা ও ভূমিধসের বিষয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস বলেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এবারের বৃষ্টি ও ঝড়ের পরিমাণ ছিল অত্যন্ত বেশি, যা অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি করেছে। আমাদের উদ্ধারকাজ চলছে এবং অনেক এলাকা এখনও পানিতে ডুবে আছে।
প্রসঙ্গক্রমে ফিলিপাইনে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ এ বন্যা ও ভূমিধসের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রায় ৫ লাখ মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ছিলেন। যাদের অধিকাংশকেই বিভিন্ন প্রদেশে ৬,৩০০-এর বেশি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফিলিপাইন সরকার বিপর্যয় সময়ে দেশটির স্কুল ও অফিস বন্ধ রেখেছে, যাতে সবাই নিরাপদে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, ‘ট্রামি’ ফিলিপাইনে এ বছরের ১১তম ঝড়। প্রতি বছর দেশটি ২০টিরও বেশি ঝড় ও টাইফুনের মুখোমুখি হতে হয়। সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়াতে আহ্বান জানানো হয়েছে। যাতে এ দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়।
মন্তব্য করুন