পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার শত্রুর তালিকায় অন্যতম প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া। নিজের নিরাপত্তার জন্য ভাড়া করা মার্কিন সেনাদের ওপর নির্ভর করতে হয় সিউলের। এর মধ্যেই আরও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কে-পপের জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ কোরিয়া।
সিউলের কর্মকর্তারা জানান, তারা এবার সরাসরি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অংশ হতে পারেন। তবে এর পরিণতি কী হবে তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে অনেকের মধ্যেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে এবার সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ শুরু করতে পারে সিউল। রাশিয়ার পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনে উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েনের অভিযোগ আসার পর এমন সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, উত্তর কোরিয়া তাদের প্রায় তিন হাজার সদস্যকে রাশিয়ায় পাঠিয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশটিতে প্রায় ১০ হাজার সেনা পাঠাবে পিয়ংইয়ং। তারা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হয়ে লড়াই করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, পিয়ংইয়ং ও মস্কোর সহযোগিতা নিয়ে সিউল কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক দিকগুলো বিশ্লেষণ করছে। এর মধ্যেই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ইউক্রেনে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের দিকটিও চিন্তা করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ কোরিয়া ধাপে ধাপে পরিস্থিতির অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে অস্ত্র সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করব, যদি মনে হয় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে তাহলে এসব অস্ত্রের আক্রমণাত্মক ব্যবহারও বিবেচনা করতে পারে সিউল।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছিলেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ১০ হাজার সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে কিয়েভের হাতে প্রমাণ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার জড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিজেদের মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনার উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। অন্যদিকে রাশিয়ায় সেনা পাঠানো–সংক্রান্ত সিউল ও কিয়েভের দাবি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি পিয়ংইয়ং। রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর খবর গোপন রাখতে উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতা লি সিওং-কুইউন।
মন্তব্য করুন