কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মিয়ানমানের জান্তার বিরুদ্ধে একজোট মুসলিম-খ্রিস্টানরা

মিয়ানমারের একটি এলাকায় সংঘাত। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের একটি এলাকায় সংঘাত। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। জান্তার বিরুদ্ধে তারা সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। এবার জান্তার বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে মিয়ানমারের হিন্দু মুসলিম ও খ্রিস্টানরা।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের তানিনথারি এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা শহরের দিকে যাওয়া গাড়ি ও ট্রাক চেক করছে। ২০২১ সালে জান্তার ক্ষমতা দখলের পর এলাকাটিতে ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে আলাদা হলেও একজোটে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছে বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠীর অনুসারীরা।

দেশটিতে এসব চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিরা স্বল্প পরিচিত ‘মুসলিম কোম্পানির’ সদস্য, যারা খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ-অধ্যুষিত সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) অংশ হিসেবে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে যোগ দিয়েছে।

তানিনথারির এ যোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিকভা ব্রিগেড-৪ এর থার্ড কোম্পানি হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। এ অংশে ১৩০ জন মুসলিম সেনা রয়েছেন। হাজার হাজার যোদ্ধাদের সঙ্গে জান্তাকে উৎখাত করতে যোগ দিয়েছেন তারা।

আলজাজিরা জানিয়েছে, মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি ঘেরা এলাকায় অজ্ঞাত জায়গায় এ ইউনিটের সদরদপ্তর পরিদর্শন করেছেন তারা।

মুসলিম কোম্পানির নেতা মোহাম্মদ আইশার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করা সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, কিছু এলাকায় জাতিগতদের নিজস্ব স্টেট থাকায় তাদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এলাকায় কোনো একক গোষ্ঠী শাসন করে না। তবে সামরিক বাহিনীর দমনপীড়ন সব গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে। যতদিন সামরিক বাহিনী থাকবে, ততদিন মুসলমান এবং অন্য সবাই নিপীড়িত হবে।

আইশার বলেন, জান্তাবিরোধী শক্তির মধ্যে বৈচিত্র্যের গ্রহণযোগ্যতা সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে, যা পূর্বে মিয়ানমারে সংঘাতের কারণ হয়েছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদি আরবে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে : উপদেষ্টা আসিফ

দেশের বাজারে সিয়েট ব্র্যান্ডের ৩টি নতুন মডেলের টায়ার আনল এসিআই মোটরস

খেলোয়াড়দের সুরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে দাবি ফিফা সভাপতির

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উল্টে গেল যাত্রীবাহী বাস

চীনে ‘সন্তান নিতে ভয়’ কারণ খুঁজতে সমীক্ষা

‘আমি মরে গেলে দুইটা এতিম শিশুর কী হবে’

‘রায়ের তোয়াক্কা না করে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করেন শেখ হাসিনা’

‘সরকার পতনে জয়ী ভাবা অনেক দলের এজেন্ডায় রাষ্ট্র সংস্কারের চিন্তা নেই’

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সুখবর দিল মালয়েশিয়া

১০

জিয়াউর রহমানের সমাধি প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করল ছাত্রদল

১১

নাটোরে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ২ 

১২

কাল বিচারিক কার্যক্রমে ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট

১৩

নির্বাচন নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

১৪

ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলানোর জন্য পাকিস্তানের অন্যরকম প্রস্তাব

১৫

মিয়ানমানের জান্তার বিরুদ্ধে একজোট মুসলিম-খ্রিস্টানরা

১৬

পল্লী বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

১৭

গভীর রাতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১৮

আ.লীগের ওপর আল্লাহর গজব পড়েছে : অ্যাড. শাহজাহান

১৯

রিমান্ড শেষে কারাগারে আনিসুল হক

২০
X