এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণা করেন। সে সঙ্গে সাহিত্যে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করার কারণ উল্লেখ করে হান কাংয়ের পরিচয় তুলে ধরে।
নোবেল কমিটি বলেছে, ১৯৭০ সালের ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেন হান কাং। যখন পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করা হচ্ছিল তখন তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের বাসিন্দা। ৫৩ বছর বয়সী কোরিয়ান ভাষার এ লেখককে মনোনীত করার কারণ হিসেবে তারা বলেছে, গভীর কাব্যিক গদ্যের জন্য হানকে এ বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তার লেখায় যন্ত্রণাদায়ক বিষয়াবলি রূপায়িত হয় এবং মানব জীবনের ভঙ্গুরতা প্রকাশ করে।
দক্ষিণ কোরীয় সাময়িকীতে একগুচ্ছ কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে হান কাংয়ের লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে । ১৯৯৫ সালে ছোট গল্প সংকলন লাভ অফ ইয়েসু দিয়ে তার গদ্য আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেসব গদ্য পাঠক মহলে প্রসংশীত হলে তিনি অনুপ্রাণিত হন। এরপর তিনি দীর্ঘাকার গদ্য লেখায় মনোনিবেশ করেন। হান কাংয়ের যেসব বই ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে সেগুলোর প্রথম দিককার একটি হলো ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’। বইটি বেশ সাড়া ফেলে। ২০১৬ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার এ বইয়ের জন্য পেয়েছিলেন তিনি। এ উপন্যাসে লেখক মানুষের নিষ্ঠুরতার করুণ চিত্র রূপান্তরিত করেন। মূলত, আতঙ্কে ভুগতে থাকা এক তরুণীর বেঁচে থাকার চেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি সমাজের নানা নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন।
হান কাংয়ের জন্ম গোয়াংজুতে হলেও তার বেড়ে উঠা সিউলে। তার ৯ বছর বয়সে মা-বাবা পরিবার নিয়ে সিউলে চলে আসেন এবং সেখানে বসবাস করতে থাকেন। সাহিত্যিক পরিবারে জন্ম হানের লেখালেখির ওস্তাদ তার বাবা। বাবা হান সিউং-ওন একজন স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক। বাবার কাছ থেকেই তিনি লেখার রসদ পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন