যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলে পাইতে পার অমূল্য রতন। বাস্তবেও অনেকটা ছাই কুড়িয়েই রীতিমতো নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন এক ব্যক্তি। শুনতে অবাক লাগলেও, ওই ব্যক্তি কেবল ভাঙারি বেচেই বানিয়েছেন স্বর্ণের বাড়ি! অবশ্য এজন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ কুড়ি বছর। কিন্তু নিজের স্বপ্ন ঠিকই বাস্তবায়ন করেছেন ওই ব্যক্তি।
স্বপ্ন ছিল স্বর্ণের বাড়ি বানাবেন। কিন্তু চাইলেই তো আর রাতারাতি এমন বাড়ির মালিক হওয়া যায় না। তাই ভাঙারি ব্যবসা করে ২০ বছর ধরে তিলে তিলে জমিয়েছেন টাকা। আর সে টাকা দিয়েই গড়ে তুলেছেন প্রাসাদসম স্বর্ণের বাড়ি। এমন অবাক কাণ্ড ঘটানো ব্যক্তির নাম এনগুয়েন ভিনহ থোন। তিনি ভিয়েতনামের ব্যবসায়ী।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ২৪ ক্যারেট গোল্ডের তৈরি ওই বাড়ি আলোয় ঝলমল করছে। পুরো বাড়িই স্বর্ণে মোড়া। বাড়ির সিলিং ও দেয়াল থেকে শুরু করে ওই বাড়ির ভেতর রয়েছে স্বর্ণের ঝাড়বাতি। রয়েছে স্বর্ণের ঘড়িও। এছাড়া একটি বিশ্রাম কক্ষ এবং একটি বেডরুমেও স্বর্ণের সাজসজ্জা দেখা যায়। ওই বাড়ি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
তাদেরই একজন হোয়াং ল্যান। তিনি বলেন, বাড়িটিতে একটি প্রশস্ত উঠোন রয়েছে। পুরো বাড়িটি স্বর্ণ দিয়ে মোড়া। এটি দেখতে খুব বিলাসবহুল। সামনে থেকে এমন বাড়ি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আরেকজন দর্শনার্থী মিনহ লি। আগেই অনলাইনে তিনি এ বাড়ির ভিডিও দেখেছিলেন। তবে বাস্তবে বাড়িটি দেখে অবাক তিনি। লি বলেন, বাড়ির নকশা এবং আশপাশের খোলা জায়গা দেখে সত্যিই অভিভূত হয়েছি।
বাড়িটির ৪৬ বছর বয়সী মালিক থোন জানান, বেশ কাঠখোড় পোহাতে হয়েছে তাকে। বিশেষ করে বাড়িতে ব্যবহার করা প্যাটার্ন এবং রিলিফগুলো হাতে তৈরি। এজন্য অনেকটা সময় লেগেছে। এছাড়া খারাপ আবহাওয়ার কারণেও বাড়িটি বানাতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। ভিয়েতনামি এ ব্যবসায়ীর ইচ্ছা, একদিন স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে এ বাড়িতে থাকবেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই স্বর্ণ বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর পেছনে ব্যয় হয়েছে ৭০ বিলিয়ন ভিয়েতনামি ডং বা ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। বাড়িটির নির্মাণকাজও প্রায় সম্পন্ন হয়ে এসেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিন তলা বাড়িটিতে একটি বাগান রয়েছে। পুরো বাড়িটি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার স্কয়ার মিটারের ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন