ধনী আরবরা ঘুরতে যান পর্যটক হিসেবে। সেখানেই অস্থায়ীভাবে বিয়ে করেন সে দেশের অসচ্ছল নারীদের। পূরণ করেন যৌন চাহিদা। এরপর দেশ ছাড়ার আগে সেই অস্থায়ী স্ত্রীকে দেন ডিভোর্স। আর এটিই যেন হয়ে উঠছে এক স্বাভাবিক ঘটনা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়।
জানা যায়, এ দেশের গ্রামাঞ্চলের গরিব নারীদের অস্থায়ীভাবে বিয়ে করে আমোদ-ফুর্তি করছেন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের পর্যটকরা। সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, আরব দেশের বেশিরভাগ পর্যটক ইন্দোনেশিয়ার পুনকাকে যান। সেখানেই অস্থায়ীভাবে বিয়ে করতে পারেন তারা। এজন্য কাবিনের অর্থও পরিশোধ করেন তারা। যতদিন এই পর্যটক ইন্দোনেশিয়ায় থাকেন ততদিন ‘অস্থায়ী বিয়ে’ করা নারীকে নিজের স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেন। এরপর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে ডিভোর্স দিয়ে যান।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, পাহাড়ি রিসোর্ট কোটা বুঙ্গাতে পুরুষ পর্যটকরা দালাল সংস্থার মাধ্যমে স্থানীয় নারীদের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর দালালরাই অস্থায়ী বিয়ের সব ব্যবস্থা করে। দুই পক্ষ যখন একমত হয় তখন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিয়ে পড়ানো হয়। এরপর ওই পুরুষ পর্যটককে কাবিনের অর্থ দিতে হয়। এতে তারা পরিশোধ করে থাকেন প্রায় ৮৫০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ টাকা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস এ নিয়ে জানায়, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত এই অস্থায়ী বিয়ে পুনকাকের পর্যটন খাতকে বৃদ্ধি করেছে। সেখানে অনেক বেশি পর্যটকের সমাগম হচ্ছে। যাদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য এবং আরব দেশ থেকে আসেন।
সাধারণত শিয়া মুসলিমদের মধ্যে এমন অস্থায়ী বিয়ের প্রচলন দেখা যেত। কিন্তু এখন এই বিয়েকে নীতি-নৈতিকতাহীন হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরাই।
মন্তব্য করুন