ইসরায়েলের হঠাৎ সামরিক বিমান পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়ল সামরিক বিমান পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার (০২ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্সের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল উত্তেজনা বাড়ার সাথে সাথে ইসরায়েল এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সামরিক বিমান মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, এ অঞ্চলে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েল ও লেবাননে থাকা নাগরিকদের যে কোনো উপায়ে দেশে ফেরার আহ্বান জানায়।
এদিকে ইরানের মুহুর্মুহু মিসাইল হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার লেবানন থেকে বৃষ্টির মতো উত্তর ইসরায়েলে রকেট ছোড়া হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে নিক্ষেপ করা হয় ৫০টি রকেট। গালিলির উঁচু এবং পশ্চিমাঞ্চলের শহরগুলোয় বেজে ওঠে সাইরেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার পাল্টা জবাব হিসেবে দেশটিতে ১৮০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এর কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এরইমধ্যে লেবানন থেকেও ছোড়া হলো ৫০টি রকেট।
এদিকে লেবাননে স্থল হামলা শুরুর পর ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী প্রথমবারের মতো মুখোমুখি প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) ভোরে ওদাইসেহ শহরে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাকালে লেবাননের যোদ্ধারা তাদের গতিরোধ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে ব্যাপক যুদ্ধ চলছে।
এ ব্যাপারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আলজাজিরার কাছে পাঠিয়েছে হিজবুল্লাহ। অঞ্চলটিতে থাকা সাংবাদিকরাও যুদ্ধের আঁচ পাচ্ছেন। হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত লড়াইয়ে তারা সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে জয়ের পথে। ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী বাধ্য হয়েছে পিছু হটতে এবং তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
মন্তব্য করুন