ভারি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মিয়ানমার। দেশটিতে বন্যায় অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত দুই লাখ ৩৬ হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে হেলিকপ্টারে ত্রাণ দিচ্ছে প্রতিবেশী দেশ। একই সময়ে হেলিকপ্টার থেকে বেসামরিক লোকদের ওপর গুলিবর্ষণও করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনী। তারা হেলিকপ্টার থেকে বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও বেসামরিক লোকদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী।
ইরাবতি জানিয়েছে, জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন জানিয়েছেন, বন্যায় ৫৯ হাজার ৪১৩টি পরিবারের ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৯ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া সারা দেশে ৩৩ জন মারা গেছেন। অডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এসেছে দ্য রয়্যাল থাই এয়ার ফোর্স। হেলিকপ্টার, উড়োজাহাজ ও ড্রোন দিয়ে বন্যার্ত এলাকায় তারা খাবার ও ওষুধ ফেলছে। মূলত মিয়ানমার সীমান্তের থাই কমিউনিটির মধ্যে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে তারা।
ইরাবতি জানিয়েছে, বন্যায় মিয়ানমারের প্রায় অর্ধেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুপার টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভারি বর্ষণের কারণে এ বন্যা দেখা দিয়েছে। মান্দালয় ও রাজধানী নাইপিডো বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যায় অনেকে বাড়ির ছাদ বা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বন্যার্তদের মাঝে হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ড্রোন দিয়ে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
বন্যায় যখন দেশবাসী নাজেহাল তখনো মরিয়া মিয়ানমারের জান্তা। গত কয়েক মাসে বিদ্রোহীরা তাদের থেকে বেশকিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেসব এলাকা তারা পুনঃদখলে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান।
মন্তব্য করুন