ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাতে ভিয়েতনামে মৃতের সংখ্যা ২৫৪ জনে পৌঁছেছে। বছরের সব থেকে শক্তিশালী এই সুপার টাইফুনের জেরে সৃষ্ট ঝোড়ো হাওয়া- প্রবল বর্ষণ-বন্যা ও ভূমিধসে এসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। নিকট ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করছেন দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দুর্যোগে আহত হয়েছেন ৮২০ জনেরও বেশি মানুষ এবং এখনো নিখোঁজ আছেন অন্তত ৮২ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে তৎপরতা এখনো জারি রয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে। ভিয়েতনামে আসার আগে ফিলিপাইনের লুজন প্রদেশ এবং চীনের কোটু দ্বীপেও তাণ্ডব চালিয়েছে ইয়াগি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তাদের মতে, চলতি ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এশিয়ায় যত ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ইয়াগি।
শনিবার সকালে উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানার পর রাজধানী হ্যানয়ের দিকে এগোতে শুরু করে ইয়াগি। যেসব এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়টি গেছে, সেসব এলাকায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল বলে জানিয়েছেন ভিয়েতনামের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এদিকে, ঝড়ের তেজ খানিকটা কমে এলেও প্রবল বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসের মতো দুর্যোগের কবলে পড়েছে ভিয়েতনামের বিভিন্ন অঞ্চল। রেড রিভার নদীর পানি রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানী হ্যানয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে।
শহরাঞ্চলের লোকজন তবু বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়, খাদ্য ও ওষুধ পাচ্ছেন, কিন্তু গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজনের অবস্থা ভালো নয়। ভূমিধস ও বন্যার কারণে দেশটির প্রত্যন্ত গ্রামের অনেক বাসন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন