কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিশুদের জন্য ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধের উদ্যোগ

কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লোগো। ছবি : সংগৃহীত
কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে লাগাম টানতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি তাদের নতুন প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এমন উদ্যোগ নিচ্ছে।

সরকার বলছে, ক্ষতিকর ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে শিশুদের দূরে সরিয়ে তাদের খেলার মাঠে ফেরাতে হবে। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এ বিষয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বয়স উল্লেখ করেননি। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বয়সসীমা ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব ব্যাপক। এটি এক প্রকারের অভিশাপ। শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে হবে। এ জন্য চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে। আইনটি কার্যকর হলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লগ ইন করতে বয়স যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবে ন্যূনতম বয়সসীমা নিয়ে এখনো আলোচনার ‍সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই শিশুরা খেলার মাঠে, সুইমিং পুলে এবং টেনিস খেলার মাঠে থাকুক। যেসব শিশু এখনই অ্যাকাউন্টধারী আইন পাসের পর তাদের সব সামাজিক মাধ্যম ব্লক করে দিতে চান তিনি।

আইনটি পাস হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বয়সের সীমাবদ্ধতা আরোপকারী বিশ্বের প্রথম দেশ হবে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে একই উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তখন তাদের বিরুদ্ধে অনলাইন অধিকার হ্রাস করার অভিযোগ উঠে।

তবে অস্ট্রেলিয়ার এ উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো অনেকটা স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে। তারা অস্ট্রেলিয়ার মতো ছোট দেশগুলোর অনুরোধ-আদেশ প্রায় অমান্য করে।

বয়স নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য আইন মানবে কি না এমন প্রশ্নে রয়টার্সকে মেটা কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে লগ-ইন এ আগে থেকেই ন্যূনতম বয়স ১৩ নির্ধারণ করে রেখেছেন। তবে সংখ্যাটি আরও কঠোর করতে তারা চান না। কারণ, মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে তরুণদের উপকৃত এবং ভালো কাজে সহযোগিতা করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করতে চায়। এক্সেস বন্ধের মাধ্যমে তা সম্ভব নয়।

অপরদিকে ইউটিউব ও টিকটক এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য জানায়নি। অস্ট্রেলিয়ায় সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীদের বড় একটি সংখ্যা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী। তাদের অনেকেই ইন্টারনেটে আসক্ত বলে সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণায় ওঠে এসেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

কাবাডির পাশে থাকার আশ্বাস ক্রীড়া উপদেষ্টার

ভারতের মাতব্বরি নয়, বিএনপি বন্ধুসুলভ আচরণ চায় : গয়েশ্বর

ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৭ শিশু নিহত

পুনর্মিলনী করবে ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন যশোর ৯৫ ব্যাচ

নারী নিয়ে বিতর্কে মুখ খুললেন সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা

পর্দা উঠল ৬ষ্ঠ জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনীর 

সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের কোনো দল-মত-ধর্ম নেই : ডা. শাহাদাত

ঢাকায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত

পাকিস্তানে তল্লাশি চৌকিতে সশস্ত্র হামলায় ১৬ সেনার মৃত্যু

১০

ভারতে ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার নির্মাণের ঘোষণা

১১

‘দিন বদলের সুযোগে অপকর্ম নয়, সমাজকে পরিবর্তন করতে হবে’

১২

বিভিন্ন মন্দিরে হামলার প্রতিবাদ ঐক্য পরিষদের

১৩

হারিয়ে যাওয়া ৫৩ মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের বুঝিয়ে দিল ডিএমপি

১৪

গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

১৫

প্রিমিয়ার লিগে আবারও হারের তিক্ত স্বাদ ম্যানসিটির

১৬

হাসান আরিফের মৃত্যুতে দেশ একজন হিতৈষী ব্যক্তিকে হারাল : ঐক্য পরিষদ

১৭

অ্যাডভান্স ফেরত না দিয়েই জ্যোতিকে বের করে দিয়েছেন বাড়িওয়ালা

১৮

কমলাপুরে যাত্রী ভোগান্তির নাটের গুরু স্টেশন মাস্টার

১৯

‘ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি’

২০
X