মিয়ানমারের সাবেক বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছে সামরিক প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চিক ক্ষমা করেছে জান্তা প্রশাসন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। তাকে পাঁচটি মামলায় ক্ষমা করা হয়েছে। এর আগে সু চিকে বিভিন্ন মামলায় ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় সামরিক আদালত।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কাউন্সিল দেশটির সাত হাজারেরও বেশি বন্দিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সু চিকে পাঁচ মামলায় সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে।
ইলেভেন মিডিয়া গ্রুপকে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, পাঁচ মামলায় সাধারণ ক্ষমার ফলে তার ৩৩ বছরের সাজা থেকে ছয় বছর কমে যাবে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর নির্জন কারাগারে বন্দি রয়েছেন মিয়ানমারের এ নেত্রী। তবে চলতি সপ্তাহে তাকে কারাগার থেকে নাইপিডোর একটি সরকারি বাসভবনে গৃহবন্দি করা হয়। তাকে কারাগার থেকে গৃহবন্দি করার সময়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের নিন্দার ফলে জান্তার নমনীয়তা প্রকাশ পায়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সু চি সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায়। সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরুতে সু চিকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। পরে গত বছর মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিডোতে তাকে কারাবাসে পাঠানো হয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি প্রায় ১৫ বছর ধরে গৃহবন্দি থাকার পর ২০১০ সালে মুক্তি পান। সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট মিয়ানমারে বন্দি সু চি বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠেছিলেন। মিয়ানমার ও বিশ্বজুড়ে তার মুক্তি উদযাপন করা হয়েছিল।
তবে পরবর্তীকালে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে চুপ থেকে তিনি সমালোচিত হন। সেসব নিপীড়িত রোহিঙ্গারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন