আদুরে প্রাণী হিসেবে বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা সবারই। পালিত প্রাণীর প্রতি যেন এ আদরটা আরেকটু বেশি। তাই নিজের বিড়াল নিয়ে আদিখ্যেতা দেখানোটা মন্দ ভাবেন না অনেকেই।
গেল শনিবার (২৪ আগস্ট) চীনের সাংহাই মিউজিয়ামের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বিড়ালপ্রেমী এবং তাদের মালিকদের নিয়ে একটি বিশেষ পার্টি। এতে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য বিড়ালপ্রেমী। 'অন টপ অব দ্য পিরামিড বা প্রাচীন মিশরের সভ্যতা' নামের এই প্রদর্শনীটিতে এ সময় অনেক জাতের বিড়ালের দেখা পাওয়া যায়।
প্রাচীন মিশরের সভ্যতা প্রদর্শনীর সঙ্গে যুক্ত এই ইভেন্টে বিড়ালদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই বিশেষ ইভেন্টে বিড়ালপ্রেমীরা তাদের প্রিয় বিড়ালদের নিয়ে মিউজিয়ামে এসেছিলেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করা এসব বিড়ালের গায়ে প্রাচীন মিশরীয় ফারাও এবং দেবতাদের পোশাক পরে থাকতে দেখা যায়। এক বিড়ালপ্রেমী জানান, তারা মনে করেন এমন একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রাচীন মিশরের সংস্কৃতি এবং বিড়ালদের সম্পর্কের একটি মজাদার সংযোগ তৈরি করা হয়। ইভেন্টের অংশ হিসেবে দর্শকরা দেখেছেন কীভাবে বিড়ালদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এতে আরামদায়ক কাপড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
অনেক বিড়াল মালিক জানান, মিউজিয়ামের এই প্রদর্শনী তাদের জন্য এক বিরল সুযোগ এবং তারা খুবই খুশি যে তাদের প্রিয় বিড়ালকে এমন একটি ঐতিহাসিক প্রদর্শনীতে নিয়ে আসতে পেরেছেন।
জানা যায়, প্রাচীন মিশরে ‘বিড়ালের উপাসনা’ একটি পৌরাণিক কাহিনি হিসেবে পরিচিত। বিড়ালরা জাদুকরী প্রাণী বলে বিশ্বাস করা হতো এবং তারা বিশ্বাস করেন, দেবতারা তাদের রূপ ধারণ করে। এ কারণে অনেক দেবতাকে বিড়াল দিয়ে চিত্রিত করা হয়েছিল।
মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের মতে, এই ইভেন্টটি গ্রীষ্মকালীন বিশেষ প্রদর্শনী গুলোর মধ্যে একটি, যা বিড়ালপ্রেমীদের মাঝে একটি আনন্দময় এবং ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতার সঞ্চার করে। প্রদর্শনীটির প্রতি মানুষের আগ্রহ দেখে এটি স্পষ্ট যে, প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে আধুনিক কাল্পনিক উপাদানের মিল কেমন করে এর একটি আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করতে পারে।
এই ইভেন্টটি শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, বরং এটি প্রমাণ করে যে, ইতিহাস এবং সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা সব বয়সী মানুষের জন্যই এক আনন্দের উপলক্ষ হতে পারে। প্রদর্শনীটি এমন একটি স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি করেছে, যা বিড়ালপ্রেমী এবং ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য দীর্ঘদিন স্মরণীয় থাকবে।