পাকিস্তানের পর এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে এমপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে দেশটিতে সংক্রমিত হওয়া ভাইরাসটির ধরন এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ সোমবার (১৯ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করে। এ বছর দেশটিতে এটিই এমপক্স শনাক্তের প্রথম ঘটনা। এর আগে ইউরোপের দেশ সুইডেনেও এমপক্স শনাক্ত হয়।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে এমপক্স মহামারী আকার ধারণ করে। এরপর সেটি আশপাশের দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভাইরাসটি আফ্রিকার গণ্ডি ছাড়িয়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় শনাক্ত হয়।
ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এমপক্স আক্রান্ত রোগীর বয়স ৩৩ বছর। ফিলিপিনো এ পুরুষ সম্প্রতি দেশের বাইরে ভ্রমণ করেছিলেন। দেশে ফিরে তিনি অসুস্থতাবোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এরই ধারাবাহিকতায় তার দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র আলবার্ট ডমিঙ্গো বলেন, আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আক্রান্ত ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার নমুনা পরীক্ষা করে ভাইরাসটির ধরন জানার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটি মোকাবিলায় সারা বিশ্বকে তাগিদ দিচ্ছে। তারা বলছে, এটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে আর তেমন কিছুই করার সুযোগ থাকবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতার লক্ষ্য হলো- গবেষণা, অর্থায়ন, আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা। এ বিষয়ে টেড্রোস বলেন, এটি স্পষ্ট যে- এই প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে এবং জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অপরিহার্য।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপক্স রোগের জন্য দায়ী মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। এটি আগে মাঙ্কিপক্স নামেই পরিচিত ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত ধরনের কারণে বর্তমানে ভাইরাসটি এমপক্স পরিভাষায় চিহ্নিত করা হচ্ছে। বর্তমানে যে ধরনটি ছড়াচ্ছে তা মানুষের প্রাত্যহিক সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মন্তব্য করুন