চলতি দশকের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে আসতে চাইছে তুরস্কের আসেলসান। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ৭৯ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক চুক্তি সম্পাদন করেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ফার্নবোরো আন্তর্জাতিক এয়ারশোতে অংশ নিয়ে বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের রাজত্ব কায়েমের কথা জানায় তুর্কি প্রতিষ্ঠানটি।
একসময়কার ইউরোপের রুগণ ব্যক্তি থেকে ইউরোপের শক্তিশালী পরাশক্তি হয়ে ওঠার লক্ষ্যমাত্রা নেয় এরদোয়ান প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে ক্রমেই সামরিক খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে তুরস্ক। একইসঙ্গে কূটনৈতিক অঙ্গনেও বাড়ছে তুরস্কের প্রতিপত্তি।
ফার্নবোরো আন্তর্জাতিক এয়ারশোতে অংশ নিয়ে আসেলসানের প্রধান নির্বাহী আহমেত আকিওল জানান, ২০৩০ সালে বিশ্বের শীর্ষ ৩০ সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নিজেদের নাম দেখতে চায় আসেলসান।
আকিওল জানান, ৪৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত আসেলসান তুরস্কের অন্যতম প্রধান প্রতিরক্ষা সংস্থায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী এবং বিশ্বব্যাপী অন্যান্য বাহিনীর জন্য স্থল ও সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক সমাধান প্রদান করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এভিয়েশন খাতে তুরস্ক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
আসেলসান সিইও জানান, তুরস্ক এখন চালকবিহীন আকাশ যান, হেলিকপ্টার, এরোপ্লেন এবং এমনকি দেশীয় উপগ্রহ রপ্তানি করে। যার অন্যতম অংশীদার আসেলসান।
সংস্থাটি ফার্নবোরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারশোতে ৬টি ভিন্ন বিভাগে ৫০টিরও বেশি পণ্য প্রদর্শন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে অ্যাভিওনিক সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সলিউশন, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা, রাডার সিস্টেম এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি।
তুর্কি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে তুর্কি অর্থনীতিতে অবদান রাখতে তারা ব্যাপক কৌশলগত বিনিয়োগ করে। বর্তমানে তারা প্রতি কেজি পণ্য ২ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি দামে রপ্তানি করে থাকে।
মন্তব্য করুন