তাইওয়ান এবং ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালানোর পর এবার চীনের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন গায়েমি। ঝড়ের পূর্বাভাসের পর চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজান প্রদেশের দেড় লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাইওয়ান এবং ফিলিপাইন জুড়ে গায়েমির আঘাতের পর, বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।
ফিলিপাইন বলেছে, গায়েমির আঘাতে উপকূলে প্রায় ১৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেল বহনকারী একটি ট্যাঙ্কার ডুবে গেছে। ওই ট্যাংকারের ১৬ ক্রুকে উদ্ধার করা হলেও একজন এখনো নিখোঁজ। সমুদ্রে পড়ে যাওয়া তেলের ধারা রোধে হিমশিম খাচ্ছে তারা। কয়েক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত তেল ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ৯ ক্রুসহ ডুবে যাওয়া পণ্যবাহী জাহাজের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝড়টি চীনের উপকূলে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্যোগ ত্রাণ পরিকল্পনা বিষয়ক কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ফুজিয়ান প্রদেশে সব ধরনের ট্রেন সেবা বাতিল করা হয়েছে। চীনের উত্তরাঞ্চলের কর্তৃপক্ষ সেখানে ভারি বৃষ্টি, ভূমিধস এবং বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং ত্রাণ বিষয়ক সদর দপ্তর প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের কাছে আঘাত হানে টাইফুন গায়েমি। সে সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৪০ কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে, গত ৮ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন।
মন্তব্য করুন