প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বড় বড় কাঠের বাক্স। তার মধ্যে রীতিমতো কিলবিল করছে সাপ। অনেকে আবার গভীর চৌবাচ্চা করেও তাতে সাপ ছেড়ে রেখে দিয়েছেন। প্রতিটি সাপই ভয়ানক বিষধর। অবিশ্বাস্য হলেও এটি চীনের জিসিকিয়াও গ্রামের অবস্থা।
জানা গেছে, চীনের কিছু অংশে সাপের মাংসের বেশ চাহিদা রয়েছে। শুধু চীনের মধ্যেই নয়। চীনের বাইরেও সাপের চাহিদা আছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এগুলো রপ্তানি করা হয়। সাপ পাঠানো হয় জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও।
চীনে সাপের মাংস মুরগির মতো সয়া সস, পেঁয়াজ পাতা দিয়ে রান্না করা হয়। কখনও স্যুপের মতো করে বানানো হয়। খেতে অনেকটা যেন মাছ ও মুরগির মতোই। তবে কিছুটা শক্ত। শুধু তাই নয়, সাপের পিত্তিসহ দেহের বিভিন্ন অংশও খান অনেকে। সাপের দেহ মদের বোতলের মধ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেটা পান করেন কেউ কেউ। মনে করা হয়, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করে। শরীর সতেজ রাখে ও দীর্ঘায়ু হতে সাহায্য করে।
গোটা গ্রাম কীভাবে এই ব্যবসায় নেমে পড়ল? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয়রা জানান, ইয়াং হোঙচাঙ নামের এক কৃষক প্রথম সাপ পালন করা শুরু করেন। এই সাপের ব্যবসা করেই বেশ জাঁকিয়ে বসেন তিনি। তার দেখাদেখি অন্যান্য গ্রামবাসীরাও তখন কৃষিকাজ বা অন্য পেশা ছেড়ে দেন। সবাই মিলে সাপের ব্যবসাতেই নেমে পড়েন।
সাপচাষিরা জানান, এক সময়ে জিসিকিয়াও গ্রামটার নামই কেউ জানত না। ছোট কৃষকদের নিয়ে সামান্য একটা গ্রাম। অনুন্নত এলাকা। সাধারণত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের বাস। কিন্তু সাপের ব্যবসা করেই তাদের সবার কপাল ফিরে গেছে। আগের তুলনায় গোটা গ্রামটাই যেন অনেক বেশি উন্নত হয়ে গেছে। অনেকে এই সাপের কারবার থেকেই বছরে ১০ লাখ টাকার কাছাকাছি আয় করেন।
মন্তব্য করুন