অসুস্থ সন্তানের জন্য ওষুধ আনতে বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন এক নারী। পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর গড়িয়ে গেলেও না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ শুরু করেন। স্ত্রীকে খুঁজতে গিয়ে জঙ্গলের ভেতর তার প্যান্ট ও জুতা খুঁজে পায় স্বামী।
পরে জানা যায়, দানব আকৃতির অজগরের শিকারে পরিণত হয়েছেন ওই নারী। এ ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের সিতেবা গ্রামে।
গত এক মাসের মধ্যে এটা অজগর সাপের গিলে খাওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা। এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
ঘটনার পর দিন মানুষখেকো সেই অজগরের দেখা মেলে। তার পেটের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় হতভাগ্য ওই নারীর মরদেহ। বুধবার (৩ জুলাই) বিশালদেহী অজগর সাপের পেট কাটলে বেরিয়ে আসে লাশ।
সাপের খাবারে পরিণত হওয়া ওই নারীর নাম সিরিয়াতি। তার স্বামী আদিয়ান্সা বলেন, বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে স্ত্রীর জুতা এবং পোশাক পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এরপরই তার সন্দেহ হয়। আদিয়ান্সা জানান, জঙ্গলের ভেতরে ঢুকতেই ১০ মিটারের মধ্যে একটি অজগরকে অলস অবস্থায় দেখতে পান তিনি। যার পেট ছিল বেশ ফোলা। তারপরই তিনি গ্রামবাসীদের ডেকে আনেন।
পরে সাপটিকে ধরে সেটির পেট চিরে ফেলা হয়। তখনই অজগরের পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে সিরিয়াতির নিথর দেহ। স্থানীয় পুলিশপ্রধান ইদুল বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, জঙ্গলের ভেতর ঢুকে কিছু দূর যাওয়ার পর সাপটি দেখতে পায় আদিয়ান্সা। তখনও এটি জীবিত ছিল। সেটির ফুলে থাকা পেট থেকে সন্দেহ হলে গ্রামবাসীকে ডাকা হয় বলে জানান ভিলেজ সেক্রেটারি ইয়াং।
অজগর সাপে আস্ত মানুষ গিলে ফেলার এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দোনেশিয়ায় এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে। দক্ষিণ সুলাওয়াসির আরেকটি জেলায় গেল মাসেই আরেক নারীকে সাপের পেট থেকে উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও সাপের পেট থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গেল বছরও একজন কৃষককে খেয়ে ফেলে একটি সাপ। পরে গ্রামবাসী ফিলে ৮ মিটারের ওই অজগর সাপকে পিটিয়ে মারে। ২০১৮ সালে ৫৪ বছর বয়সী এক নারীকে সাত মিটার লম্বা একটি অজগরের পেটের ভেতর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনা ঘটে দক্ষিণপূর্ব সুলাওয়াসির মুনা টাউনে। এর আগের বছর পশ্চিম সুলাওয়াসির একটি পাম বাগান থেকে একজন কৃষক নিখোঁজ হন। এরপর চার ফুট লম্বা একটি অজগরের পেট থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন