রাশিয়ার কূটনীতির কাছে একপ্রকার পরাস্ত হয়েই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আফ্রিকার দেশটি থেকে প্রায় এক হাজার সৈন্য প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার এমন তথ্য জানায় মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। মূলত পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো ক্রমেই রাশিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল ওয়াশিংটনকে।
যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল এবং নাইজেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলি মহামান লামিন জেইনের মধ্যকার আলোচনার পর নাইজার থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল প্রভাবিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয়ে নাইজারের মরুভূমির শহর আগাদেজ-এ একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে।
রাজধানী নিয়ামে থেকে প্রায় ৯২০ কিলোমিটার দূরের এ বিমানঘাঁটিটি মনুষ্যবাহী এবং মনুষ্যবিহীন নজরদারি ফ্লাইট এবং অন্যান্য অপারেশনের জন্য ব্যবহার করে আসছিল মার্কিন সেনারা। নাইজারে সামরিক শাসন শুরুর পর থেকেই ওয়াশিংটন পশ্চিম আফ্রিকার অন্য কোথাও নিজেদের ড্রোন ঘাটি নির্মাণের জন্য বেশ কয়েকটি অবস্থানের ব্যাপারে বিবেচনা করছে।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতে নাইজারে সামরিক প্রশিক্ষক এবং একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে মস্কো। দেশটির সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত সম্পর্ক গভীর করার পদক্ষেপ হিসেবে সামরিক প্রশিক্ষক ও সরঞ্জাম পাঠায় রাশিয়া।
এর আগে গেল বছরের সেপ্টম্বরে নাইজার থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে মার্কিন মিত্র ও নাইজারের সাবেক উপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স। ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই এক অভ্যুত্থানে নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। তারপর থেকেই আন্দোলনকারীরা দাবির মুখে ফরাসি সেনা ও রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় প্যারিস।
মন্তব্য করুন