সুদানের দারফুর অঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর হামলায় অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সুদানে সহিংসতা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা দেশটির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং জাতিগত সংঘর্ষের এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ মার্চ) বার্তা সংস্থা এএফপির খবর অনুযায়ী দেশটির দারফুরের উত্তরাঞ্চলের আল মালহা শহরে এই হামলা চালানো হয়।
প্রসঙ্গত, সুদানে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এই সংঘাতের মধ্যে, সুদানের সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্টের বাসভবন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং জাতীয় জাদুঘরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল করে নিয়েছে। সেনাবাহিনী বর্তমানে একে একে আরএসএফ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন স্থাপনাও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, দারফুর অঞ্চলের আল মালহা শহরে হামলার খবর পাওয়া গেলে সেখানে স্থানীয়রা জানান, আরএসএফ জাতিগত সহিংসতা চালিয়েছে, যা এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে, আরএসএফ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি। হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গত দুই বছর ধরে সুদানে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, এবং ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি, দেশটিতে ভয়াবহ খাদ্যসংকট এবং শরণার্থী সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের মানবিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করেছে।
এই সংঘর্ষের মাঝে, সেনাবাহিনী বর্তমানে খার্তুমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন পুনরুদ্ধারের জন্য আরএসএফের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আবদুল্লাহ জানান, খার্তুমের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সদর দপ্তর, জাতীয় জাদুঘরসহ আরও কিছু স্থাপনা পুনরুদ্ধারে চাপ প্রয়োগ করছে সেনারা। আরএসএফ এখনো বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান করছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের সেনা বাহিনী খার্তুম থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন