মালির পশ্চিমাঞ্চলে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে পড়ে অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
জানা যায়, ধসে পড়া সোনার খনিটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে স্থানীয়রা অবৈধভাবে সেখানে সোনার খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
পুলিশের এক সূত্র জানায়, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খনিটি ধসে পড়ে। এতে ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। কয়েকজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যার পিঠে তার ছোট্ট শিশুটি বাঁধা ছিল।’
স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা ও ‘কেনিয়েবা গোল্ড মাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ও ৪৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রধান।
প্রসঙ্গত, মালি আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ হলেও সেখানে অবৈধ খনন কার্যক্রমের কারণে প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে একটি মালি, যেখানে হাজারো মানুষ জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে নিরাপত্তাহীনভাবে স্বর্ণ উত্তোলন করেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ধসে পড়া খনিটি একসময় চীনের একটি কোম্পানি পরিচালনা করত। তবে এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরও সেখানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে খনন কাজ চলছিল। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও তা ঠেকানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রতিবছর মালিতে এমন দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তবে অবৈধভাবে স্বর্ণ উত্তোলন বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনকে বেগ পেতে হচ্ছে। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার না করলে ভবিষ্যতে আরও প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন