দক্ষিণ আফ্রিকা জমি বাজেয়াপ্ত করে নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে, ততক্ষণ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সব তহবিল বন্ধ থাকবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় জমির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক চলছে। বর্ণবাদী শাসনের পর শ্বেতাঙ্গদের অধিকারে অধিকাংশ কৃষিজমি রয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা একটি নতুন বিলে সই করেছেন। ওই বিলের মাধ্যমে, সরকার নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।
সরকার বলছে, এটি ইচ্ছেমতো সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অনুমতি দেয় না। বরং মালিকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তবে, অনেকের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপে শ্বেতাঙ্গদের সম্পত্তি জব্দ করা হতে পারে।
১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়ে সরকার শ্বেতাঙ্গদের মালিকানাধীন কোম্পানি বাজেয়াপ্ত করেছিল, যার ফলে দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভূমির বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভেদ চলে আসছে। শ্বেতাঙ্গ শাসনামলে কৃষ্ণাঙ্গদের ভূমি অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছিল। বর্ণবাদের অবসানের পর, শ্বেতাঙ্গদের মালিকানাধীন কৃষিজমি পুনরায় কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে বিতরণ করার প্রচেষ্টা চলছে। তবে, এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করছে রক্ষণশীল ডানপন্থী দলগুলো। তারা মনে করেন, এটি শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি করবে এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমি বিতর্ক আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ইলন মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক।
মন্তব্য করুন