আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ গ্রুপের হামলার শিকার হয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী। এতে ১৭ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি ফেলিক্স আন্তোইন শিসেকেদি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি পূর্ব সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। প্রাণহানির পরও আন্তর্জাতিক এবং আফ্রিকান সম্প্রদায়ের ‘নীরবতার’ নিন্দা করেছেন তিনি। এ ছাড়া রুয়ান্ডাকে বিদ্রোহীদের সমর্থন করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি।
ফেলিক্স আন্তোইন শিসেকেদি বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে তার টেলিভিশন ভাষণে বলেন, আমাদের দেশের পূর্বাঞ্চল নিরাপত্তা পরিস্থিতির অভূতপূর্ব অবনতির মুখোমুখি হচ্ছে। রুয়ান্ডার প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের এম২৩ পুতুলদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এভাবে তারা আমাদের জনগণের মধ্যে সন্ত্রাস ও জনশূন্যতার বীজ বপন করে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার রুয়ান্ডার সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা গোমার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে। কিন্তু বাসিন্দারা বলছেন, কৌশলগত শহরটি এখনও বিদ্রোহী এবং সেনাবাহিনী উভয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সংঘর্ষে গোমায় কমপক্ষে ২৫ জন, রুয়ান্ডায় ৯ জন এবং লড়াইয়ে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এই সপ্তাহের সংঘর্ষে ১৭ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ জন দক্ষিণ আফ্রিকান, তিনজন মালাউইয়ান এবং একজনের জাতীয়তা জানা যায়নি।
শান্তিরক্ষী হত্যার পর সেখানে যুদ্ধ আরও তীব্রতর হলে জাতিসংঘ দশ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যার শহর গোমা থেকে তাদের বেসামরিক কর্মীদের সরিয়ে নেয়।
তবে এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গত সোমবার আইএসপিআর থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ডি আর কঙ্গোতে চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদ রয়েছেন। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন