যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে হামলা চালানোর অনুমতি পেয়েছে ইউক্রেন। প্রায় তিন বছর ধরে এ যুদ্ধ চললেও এতদিন মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে দেননি বাইডেন। কিন্তু নিজের ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে এবার সে অনুমতি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো যাবে। এটা কিয়েভকে জানিয়ে দিয়েছে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই অনুমতি চেয়ে আসছিলেন, যেন নিজেদের সীমান্তের অনেক দূর থেকেও রুশ সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারেন তারা। তবে এ ধরনের হামলায় ওয়াশিংটনের সায় ছিল না। মার্কিন প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল, রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে কিয়েভকে হামলা চালানোর অনুমতি ইউক্রেন যুদ্ধের আরও সম্প্রসারণ ঘটাতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। রুশ আইনপ্রণেতা আন্দ্রেই ক্লিসাস হুমকি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল ব্যবহার করে ইউক্রেন যদি রাশিয়ায় হামলা চালায় তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে।
ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমারা উত্তেজনা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেখানে সকালের মধ্যেই ইউক্রেন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে।
আন্দ্রেই ক্লিসাস জানিয়েছেন, ইউক্রেন যে-ই যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার মিসাইল দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাবে তার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালানো হবে। এক্ষেত্রে কোনো দেরি করা হবে না। তিনি বলেছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে এটি বড় ধাপ।
গত সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, যদি পশ্চিমারা ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে দেয়, এটির অর্থ হবে পশ্চিমারা সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। পুতিন হুমকি দেন, এ ধরনের পদক্ষেপ চলমান যুদ্ধের প্রকৃতি এবং পরিধি বদলে দেবে।
ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু এখন যুদ্ধবিরতির একটি আলোচনা চলছে, তাই কিছুটা শক্ত অবস্থানে থেকে যেন ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে যেতে পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন