চাকরির জন্য যোগ্য হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ার তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ফরাসি পরামর্শক ফার্ম ইমার্জিংয়ের তৈরি ‘গ্লোবাল এমপ্লোয়েবিলিটি ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং অ্যান্ড সার্ভে (জিইইউআরএস ২০২৫)’-এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বে শিক্ষার্থীদের চাকরির যোগ্য হিসেবে গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে জরিপটি করে প্রতিষ্ঠানটি। এ তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বের সেরা ২৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হয়নি, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বড় একটি সংকেত। অর্থাৎ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা চাকরির জন্য যোগ্য নয়।
তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে, যেখানে গ্র্যাজুয়েটদের কাজের অভিজ্ঞতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে কিছুটা কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে চাকরির জন্য প্রস্তুত। তাদেরই প্রাধান্য দিয়ে থাকে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারত, যেখানে শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। তাদেরও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ২৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জায়গা পেয়েছে।
সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে আইআইটি দিল্লি, যা তালিকায় ২৮তম স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (৪৭তম) এবং আইআইটি বোম্বে (৬০তম) সেরা ১০০-এর মধ্যে স্থান পেয়েছে।
বিশ্বের সেরা ২৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও ভালো জায়গা করেছে। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, হংকং, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার অন্তত একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে তালিকায়।
বিশেষ করে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় ৮ম স্থানে, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর ৯ম স্থানে এবং চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় ১১তম স্থানে রয়েছে।
তালিকায় বিশ্বের সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, স্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটোন বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজ।
মন্তব্য করুন