মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলকে রক্ষায় নতুন করে অতিরিক্ত সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসকারী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান।
শনিবার (২ নভেম্বর) প্রকাশিত অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওয়াশিংটনে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানান, ‘যদি ইরান তার অংশীদার বা প্রক্সিদের এই মুহূর্তটি আমেরিকান কর্মীদের বা এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থকে টার্গেট করার জন্য ব্যবহার করে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।’
পেন্টাগনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব লয়্ড অস্টিন মধ্যপ্রাচ্যে বোমারু বিমান, যুদ্ধবিমান ও নৌযান পাঠাচ্ছেন। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো অঞ্চলটিতে মার্কিন উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করা। এর আগে ইসরায়েলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী প্রতিরক্ষা মোতায়েন, যার মধ্যে মাটিতে আমেরিকান সৈন্যদের দ্বারা পরিচালিত একটি থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। তার ওপর নতুন করে সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন মার্কিন স্বার্থকে আরও সমুন্নত করার বার্তা দিচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন একাধিক বি-৫২ স্ট্রাটোফরট্রেস বোমারু বিমান, একটি যুদ্ধবিমান স্কোয়াড্রন, ট্যাঙ্কার বিমান ও নৌবাহিনীর ধ্বংসকারক জাহাজ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলো আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এই সামরিক পদক্ষেপগুলো নেওয়ার পেছনের কারণ হলো গাজা এবং লেবাননে ইরান সমর্থিত হামাস ও হিজবুল্লার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ। অস্টিনের এই সামরিক প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে যে, তারা ইরান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গক্রমে, ২৬ অক্টোবর ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য হামলায় ‘বিতর্কিত’ পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেল ক্ষেত্রগুলো বাদ দিয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে।
পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করেছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে অব্যাহত সামরিক অভিযান আরও বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্য করুন