মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু সরকারি ব্যয় কমাতে মন্ত্রীসহ ২২৫ জনের বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ বাতিল করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত বছর ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক কারণে সরকারি বিভিন্ন পদে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাদেরকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পাবলিক ফান্ডের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন মন্ত্রী, ৪৩ জন উপমন্ত্রী এবং ১৭৮ জন রাজনৈতিক কর্মকর্তা রয়েছেন।
এদিকে এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রতি মাসে ৩ লাখ ৭০ ডলার সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। মালদ্বীপ আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বেলআউট নেওয়ার পরিকল্পনা না করার ঘোষণা করেছে গত সেপ্টেম্বরে। মূলত দেশটির আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করেছে মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রশাসন।
উল্লেখ্য, আয়তনে ছোট হলেও ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে মালদ্বীপ। ১ হাজার ১৯২টি প্রবাল দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত মালদ্বীপ। দেশটির অর্থনীতিতে পর্যটন খাত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। দেশটির প্রধান ঋণদাতা হিসেবে চীন ও ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর জয়ের পর থেকে চীন আরও বেশি তহবিল দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। এরপর বেইজিংয়ের এ প্রতিশ্রুতিকে মুইজ্জু ‘নিঃস্বার্থ সহায়তা’ বলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের ধারণা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের একটি সমান্তরাল রেখা মেনে চলার চেষ্টা করছে। যদিও তার নির্বাচনি ইশতেহারে ভারত বিরোধিতা ছিল মূল এজেন্ডার অন্যতম। তবে সময়ের প্রয়োজনে নিজ দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে উভয় দেশের সঙ্গেই মালদ্বীপের সখ্যতা দরকার।
মন্তব্য করুন