কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এক চতুর্থাংশ কিশোরী সঙ্গীর যৌন সহিংসতার শিকার : ডব্লিউএইচও

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো কিশোরীদের প্রায় এক-চতুর্থাংশই সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক ও যৌন সহিংসতার শিকার। নতুন এক গবেষণায় এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)। এতে বলা হয়েছে, এই ধরনের সহিংসতা কিশোরীদের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে।

আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে আজ মঙ্গলবার গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে কিশোরীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন এই গবেষণায় ১৫৪টি দেশ ও অঞ্চলের ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী কয়েক হাজার কিশোরীর ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়। গবেষণায় দেখা যায়, জরিপে অংশ নেওয়া কিশোরীদের ২৪ শতাংশই অন্তত একবার সঙ্গীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময় সহিংসতার শিকার হয়েছে।

ডব্লিউএইচওর গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর এই সহিংসতার হার ছিল ১৬ শতাংশ। এক বছরে তা বেড়ে ২৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ডা. লিনম্যারি সার্ডিনহা বলেন, অল্পবয়সী কিশোরীরা নিপীড়িত হচ্ছে এবং কারও সমর্থন পাচ্ছে না; এমন উদ্বেগের জায়গা থেকে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত অবাক হয়েছি, কিশোরী মেয়েদের বিশাল একটি অংশ তাদের ২০তম জন্মদিনের আগেই সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সার্ডিনহা বলেন, আমাদের যেখানে থাকার কথা ছিল, আমরা তার তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছি।

২০০০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পরিচালিত সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে এই গবেষণা কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। লিনম্যারি সার্ডিনহা বলেন, তখন থেকেই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং এখনো আমরা সেসব যাচাইবাছাই করে দেখছি। এতে কিশোরীদের সহিংসতার শিকার হওয়ার হারে সামান্য পতন হয়েছে।

সমীক্ষায় গণনা করা সহিংসতার ঘটনাগুলোর মধ্যে লাথি মারা অথবা মারধরের পাশাপাশি ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার মতো অযাচিত যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করার মতো বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

দেশ ও অঞ্চলের ভিত্তিতে ভাগ করা তথ্যে দেখা যায়, অঞ্চল ভেদে সহিংসতা ও নারী অধিকারের মতো বিষয়গুলোও এতে ভূমিকা রেখেছে। যেখানে মেয়ে ও নারীদের শিক্ষার সুযোগ সীমিত এবং অসম উত্তরাধিকার আইন রয়েছে, সেখানে সহিংসতার উচ্চমাত্রা দেখা গেছে।

ডব্লিউএইচওর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সহিংসতার হার সবচেয়ে বেশি ওশেনিয়া অঞ্চলে। এরপরই আফ্রিকা মহাদেশের অবস্থান। পাপুয়া নিউগিনির ৪৯ শতাংশ কিশোরী ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর কাছ থেকে সহিংসতার শিকার হন। গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ৪২ শতাংশ কিশোরী এমন সহিংসতার শিকার। সহিংস ঘটনা সবচেয়ে কম ঘটে ইউরোপে। সেখানে সহিংসতার হার ১০ শতাংশ।

ডব্লিউএইচওর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং গবেষণা বিভাগের পরিচালক প্যাসকেল অ্যালোটে বলেন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বয়সে এ ধরনের সহিংসতা তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিষয়টিকে অনেক বেশি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই মিট অ্যান্ড গ্রিট-২০২৫ অনুষ্ঠিত

রাজশাহী থেকে অপহৃত মাদ্রাসাশিক্ষক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগ জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

নিষিদ্ধ সময়ে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে জাটকা

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি

বদলির আদেশের পরও স্বপদে বহাল ইউএনও তনু

হজের আগে সৌদিতে কঠোর অভিযান

হাসপাতাল থেকে পালানো জলদস্যু রফিক গ্রেপ্তার

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের বিষয় স্পষ্ট করল ভারত

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা / মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের বৈঠক

১০

ইউক্রেনেকে জার্মানির ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা নিয়ে রাশিয়ার কড়া বার্তা

১১

‘বিএনপিকে পাশ কাটাতেই নির্বাচন বিলম্ব করছে সরকার’ 

১২

ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা 

১৩

কুড়িগ্রামে কাফনের কাপড় বেঁধে কারিগরি শিক্ষার্থীদের মিছিল 

১৪

ঋতাভরীর নতুন অধ্যায়

১৫

‘এই সংবিধানের অধীন গঠিত সরকারকে বৈধ মনে করি না’

১৬

জন্মদিনে উপহার চাই না, ম্যাচ জিতলেই হবে: ফিল সিমন্স

১৭

গুলিতে নিহত হাসিবুলের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

১৮

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯

অপহরণের পর কিশোরীকে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেপ্তার

২০
X