জলবায়ু পরিবর্তনে নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। নারীর বন্ধাত্ব্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। কৃষি, অর্থনীতি, প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ‘ভূমি পুনরুদ্ধার, খরামুক্ত টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এ মন্তব্য করেন বক্তারা।
বুধবার (৫ জুন) এডাব (এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ)-এর আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এডাব-এর ভাইস-চেয়ারপারসন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য শাহিদা তারেখ দীপ্তি।
এডাব পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডাব-এর কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। আলোচক হিসাবে ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও মিডিয়া গবেষক শামীমা চৌধুরী, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের যুগ্ম সম্পাদক ও সমন্বয়ক জান্নাত-এ ফেরদৌসী লাকী, সিসিডিবির জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির মো. আব্দুল আলীম শেখ।
শাহিদা তারেখ দীপ্তিএমপি বিভিন্ন আইন কঠোর হস্তে প্রয়োগ ও আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান। তিনি সভায় উত্থাপিত বিষয়সমূহ সমাধানের জন্য জাতীয় সংসদে উত্থাপন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
বিশিষ্টজনরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বরফ গলে যাওয়া, সমূদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, লবনাক্ততা, লবনাক্ত পানির অনুপ্রবেশ, মানুষের স্থানান্তর বৃদ্ধি, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও তাপদাহ বৃদ্ধি, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি উল্লেখ করেন। যার ফলে এছাড়া, প্রভাবশালী ব্যক্তিগণের ভূমি দখল, জলাভূমি ভরাট, নদী-খাল ও পাহাড় দখল, গাছ-পালা ও মাটি কেটে অবৈধ বসতি স্থাপন করা, শিল্পের বর্জ্য ফেলে পানি ও মাটি দুষণ করছে।
পরিবেশ রক্ষায়, বেশি বেশি গাছ লাগানো, ছাদ কৃষিকে উৎসাহিত করতে কর হোল্ডিং ট্যাক্স রেয়াত চালু করা ও বসত ভিটায় বৃক্ষরোপন, সামাজিক বনায়নে স্থানীয় জনগণের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা; নদী খনন, বাধ নির্মাণ ও পাশাপাশি, দুর্নীতি রোধ ও সুশাসন নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও এনজিও কর্মীদেরকে একত্রে কাজ করার জন্য সকলে মত প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন