নারীর গৃহকর্মের অর্থনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে। নীতিনির্ধারক এবং নারীদের নিজেদেরকেই এ বিষয়টি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপ্রধান সাগুফতা ইয়াসমিন এ মন্তব্য করেন।
বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত (এমজেএফ) জেন্ডার সমতা আনয়নে নারী অধিকার ভিত্তিক সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক নারী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নারীর অগ্রযাত্রার পথ হয়তো কখনই সহজ হবে না, নারীদের নিজেদেরকেই নিজের নিরাপদ রাস্তা তৈরি করে নিতে হবে। নারী সম্মেলনের সভাপ্রধান এবং এমএজএফ এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, নারীদের অধিকার সুরক্ষায় সুবিধাবঞ্চিত নারী, স্থানীয় সংগঠন, সরকার ও নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাই কমিশনের গ্লোবাল এফেয়ার্স বিষয়ক সেকেন্ড সেক্রেটারি (ডেভেলপমেন্ট) মিস রিটা হুকায়েম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী ডা. ফওজিয়া মোসলেম, নারীবাদী আন্দোলনের কর্মী যশোধারা দাশগুপ্ত, এমজেএফ এর পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী। সম্মেলনে প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন এমজেএফ এর সিনিয়র কো- অর্ডিনেটর মহুয়া লেয়া ফলিয়া।
মিস রিটা হুকায়েম বলেন, বাংলাদেশের নারীদের জন্মগতভাবে সবরকম যুদ্ধ জয় করার অদম্য ক্ষমতা রয়েছে। তবে সামাজিক বৈষম্য এবং নারীর প্রতি নেতিবাচক ধারণার কারণে তাদের পথ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। নারী অধিকার আন্দোলনকে জীবনব্যাপী প্রত্যয় ধরে নিয়ে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর চাহিদার জায়গাগুলিতে পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তিত চাহিদার অনুযায়ী লক্ষ্য স্থির করতে হবে।
যশোধারা দাশগুপ্ত দিনব্যাপী প্ল্যানারি সেশন পরিচালনা করেন। তিনি নারী আন্দোলন ও নারী অধিকার আদায়ে বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরেন।
বনশ্রী মিত্র নিয়োগী বলেন, নারীদের অধিকার ও সমতা উন্নত করার প্রত্যয়কে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে গঠনমূলক আলোচনা ও সুপারিশের ভিত্তিতে একটি নতুন নারী ফোরাম গঠনের জন্য সম্মেলনের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
মন্তব্য করুন