জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্থায়ী সদস্য মো. সেলিম রেজা বলেছেন, অভিবাসী সেক্টরের সব বিভাগে শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করা দরকার। বিশেষ করে বিএমইটি, রিকুটিং এজেন্সির কর্মকর্তারা যাতে নিয়মিত অভিবাসনে যাওয়া নারী-পুরুষ উভয় শ্রমিকদের খবর নেন সে দিকে নজর রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হল রুমে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর চিলড্রেন উইমেন স্টাডিজের আয়োজনে ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের পুনঃএকত্রীকরণ সম্পর্কিত পরামর্শ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিক উন্নয়নে বাজেটে ঘাটতি রয়েছে। অভিবাসনে যাওয়ার আগে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে বাজেটে যে বরাদ্দ রয়েছে তার পরিমাণ বাড়ানো দরকার।
সেলিম রেজা বলেন, অনলাইন পদ্ধতি চালু করাসহ অভিবাসন পরিচালনা পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমীন, ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের নীতিমালা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিডব্লিউসিএসের সভাপতি অধ্যাপক ইশরাত শামীম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএমইটির পরিচালক (প্রশাসন) মাসুদ রানা, ওয়েজ আনার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সৌরেন্দ্র নাথ সাহা, যুগ্ম সচিব শোয়েব আহমেদ খান, অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো মজিবুর রহমান প্রমুখ।
অধ্যাপক ইশরাত শামীম বলেন, অভিবাসন জেন্ডার সমতা নয়। নারী শ্রমিকরা বিনা খরচে বিদেশে গিয়ে চাকরি করতে পারেন। কিন্তু দালালদের খপ্পরে পড়ে তারা বিদেশে যাওয়া বাবদ অনেক টাকা খরচ করে। বিদেশে গিয়ে যে শুধু সহিংসতার শিকার হচ্ছেন তাই নয়, শূন্য হাতে তারা দেশে ফেরত আসছেন। তারা জানেন না, সরকার থেকে তারা কী কী সুবিধা পাবেন।
তিনি বলেন, ৬০০ ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছি। তবে জেন্ডারের ভিত্তিতে সবার চ্যালেঞ্জগুলো একরকম নয়।
মন্তব্য করুন