বস্তিতে বসবাসকারী দেশের প্রান্তিক নারীরা এখনো পেছনে পড়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন নারী অধিকার কর্মীরা। তারা বলছেন, রাজধানীর বস্তি এলাকাগুলোতে সঠিক বর্জ্য ও পয়ঃব্যবস্থাপনার অভাবে নারীরা একটি অমর্যাদাকর পরিবেশে বসবাস করছেন। তারা প্রকৃত স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। শুধু নগরের বর্জ্য ব্যবস্থা সংকটের কারণে সুষম উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নারীরা।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) কনসোর্টিয়াম (ডিএসকে, বারসিক, কাপ ও ইনসাইটস) আয়োজিত র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তারা।
ডিএসকের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন বলেন, দেশের বেশিরভাগ শ্রমজীবী নারীরা নারী দিবস সম্পর্কে জানেন না। কারণ তাদের এই প্রক্রিয়ার সাথে অংশগ্রহণই করানো হয় না। আমাদের মা-বোন-স্ত্রীদের বিভিন্নভাবে সম্মানিত করতে গিয়ে তাদের অধিকার থেকেই বঞ্চিত করে ফেলি। তাই অধিকার নিশ্চিত করতে আগে বৈষম্য দূর করতে হবে।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, পুরুষেরা সমাজে যে অধিকার ভোগ করে সমাজে নারীদেরও সেই অধিকার ভোগ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। নারীর অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক। নারীরা কোথাও নিরাপদ নয়। নারীকে তার অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করতে হয়। নারীর সকল মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ হিসেবে নারী উন্নয়ন নীতি করেছে।
ইউওয়াই সিস্টেমস লিমিটেডের সিও এবং চেয়ারপারসন ফারহানা এ. রহমান বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) খাতে ২৫ বছর আগেও শুধু পুরুষের জায়গা ছিল। কিন্তু আমরা মেধা, শ্রম, সময় ও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেছি।
তিনি বলেন, আমার কাছে নারীর ক্ষমতায়ন মানে নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষমতা। পাশাপাশি তার সিদ্ধান্ত তার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক কীভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে সেটাও বিবেচনার বিষয়।
কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিপ অব পার্টি কেটি ক্রো বলেন, সারাবিশ্বে নারীর অধিকার ও নেতৃত্ব বিকাশে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সব জায়গায় নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
কাপের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত বলেন, নারীদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়লেও নিজের অধিকার আদায়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়েনি। নারীদের আরো প্রতিবাদী হতে হবে তাদের নিজের অধিকার রক্ষার জন্য। পাশাপাশি সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন