ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকরা জামানত ছাড়া প্রবাসী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন। সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড স্টাডিজের আয়োজনে বিদেশ ফেরত নারী অভিবাসীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর সংস্থার করফারেন্স কক্ষে সোমবার সকালে ‘বিদেশফেরত নারী অভিবাসীদের পুনঃএকত্রীকরণ ও পুনর্মিলন নীতিমালার খসড়া’ উপস্থাপন আলোচনায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবুর রহমান এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, যারা দেশের বাইরে যাচ্ছেন, তারা জানেন না কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন। তাদের জিজ্ঞেস করলে বলেন ওমুকের মাধ্যমে যাচ্ছি। আমরা তাকে চিহ্নিত করি দালাল হিসেবে। আমরা তাদের বলি এজেন্সির নাম বলতে হবে। গ্রাম থেকে তাদের এনে আকাশ সমান স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবুর রহমান, বিএমইটির পরিচালক (প্রশাসন) মাসুদ রানা, ওয়েজ আর্নাস ওয়েলফেয়ার বোর্ডের উপপরিচালক (ওয়েলফেয়ার) শরিফুল ইসলাম, অ্যালায়েন্স ফর উইমেন মাইগ্রেন্ট ভয়েজেসের উপদেষ্টা মোহাম্মদ একরাম হোসেন, আইএলওর ন্যাশনাল প্রোগাম অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উপ-প্রোগাম ম্যানেজার ইশরাত পারভীন ইমা, বমসার নির্বাহী পরিচালক শেখ রুমানা, বিএনএসকের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, ফ্লিম্স ফোর স্পিচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ সিদ্দিকী প্রমুখ।
নারীর আন্তর্জাতিক অভিবাসন- বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক ইশরাত শামীম বলেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসনের গতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বা উন্নত জীবিকার বিকল্পের সন্ধানে নারী ও পুরুষ উভয়ই স্বেচ্ছায় বা বাধ্যতামূলকভাবে বিদেশে কাজ করতে যায়। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থানের জন্য নারীদের আন্তর্জাতিক অভিবাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে গার্হস্থ্য পরিচর্যাকারী হিসেবে নারী অভিবাসীরা বেশি যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, একদিকে অভিবাসন নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন করতে পারে। অন্যদিকে দেশ এবং বিদেশে তথ্যের অভাব এবং নিরাপদ অভিবাসনের সুযোগের অভাবে তাদের উভয় ধরনের শোষণ ও অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়ে।
মাসুদ রানার মতে, ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের পুনরায় সেখানে পাঠানো শব্দটির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে তার আগের অভিবাসন সফল হয়েছে। অথচ তাদের অভিবাসন নিরাপদ ছিল না। কারণ অভিবাসী নারী শ্রমিক সেখানে নিজের মতো কিছু করতে পারেননি। সুতরাং এই শব্দটি এখানে ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, পলিসি জেন্ডার সংবেদনশীল হতে হবে। কারণ এই পলিসিকে নির্ভর করেই সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। যারা বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আসেন তাদের অনেকেরই শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হয়। বিশেষ পলিসির মধ্যে এগুলোও সংযুক্ত করতে হবে। ডাটাবেইস, মিডএসিসমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেবা প্রদান, সেবা প্রদানের কৌশলগুলো সমন্বিতভাবে হওয়া দরকার।
মন্তব্য করুন