কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আসকের আলোচনা সভায় বক্তারা

যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইনের সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি : কালবেলা
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি : কালবেলা

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, আইনে যৌন হয়রানির কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞার কথা বলা নেই। নারীকে স্পর্শ না করেও হয়রানি করা যায় সেখানে আইনের সীমাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া শ্রম আইনে মহিলা শব্দের কথা বলা আছে যা লিঙ্গ নিরপেক্ষ নয়। শক্তিশালী ও স্পষ্ট আইন তৈরি না হলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সিরডাপ মিলনায়তনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আয়োজনে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় বক্তব্য দেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল, অগ্নি প্রকল্প সমন্বয়কারী আসমা খানম রুবা।

যৌন হয়রানি বন্ধে বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনের সীমাবদ্ধতা ও প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন আসমা খানম রুবা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ২৯৪ ধারায় যৌন হয়রানির কথা উল্লেখ নেই ও শাস্তি কেবল তিন মাস। ৩৫৪ ধারায় নারীর ‘শালীনতা’ নষ্টের কথা উল্লেখ থাকলেও এই শব্দের কোনো সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশে ৭৫ ও ৭৬ ধারায় যৌন হয়রানির কথা উল্লেখ থাকলেও শাস্তি যথাক্রমে তিন মাস ও এক বছর এবং জরিমানা যথাক্রমে পাঁচশ ও দুই হাজার টাকা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এ অভিযুক্তের শাস্তির পরিধি বৃদ্ধি পেলেও নারীর অঙ্গ স্পর্শ করার কথা বলা হয়েছে যা বেশ সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশ শ্রম আইনে ‘মহিলা’ শব্দের ব্যবহার রয়েছে যা লিঙ্গ নিরপেক্ষ নয়।

সভায় জানানো হয়, হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোনো আইন প্রণীত হয়নি, যার কারণে আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা প্রদানে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আবু আহমেদ ফয়জুল বলেন, নারীরা যৌন হয়রানি নিয়ে কথা বলতে চান না। একটা আদালতে এত মামলার জট থাকে অনেকে আর মামলা চলমান রাখে না। রায় আসতে পাঁচ-ছয় বছর লেগে যায় বা তারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে এই কারণে অনেকেই মামলা করতে চান না। আইনের অনেক ফাঁকফোকড় আছে। এই জায়গাগুলো শক্তিশালী করতে না পারলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষকদের শিক্ষাবাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

হুইলচেয়ারে বসেই আলো ছড়াচ্ছেন ফয়সাল

হেঁটে এক টাকায় জ্ঞান বিলিয়ে যাচ্ছেন লুৎফর রহমান

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন

ময়মনসিংহে মায়ের হাতে মেয়ে খুন

কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না : সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপির সেই সভাপতিকে অব্যাহতি

বাংলা ভাষাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা দিল ভারত

রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

শেরপুরে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে বিজিবি

১০

চট্টগ্রামে ফের তেলের ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন

১১

আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ

১২

খুলনায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৪ নেতাকে বহিষ্কার

১৩

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ৫ পরিচালকের যোগদান

১৪

দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর, বাকেরগঞ্জ থানার ওসি প্রত্যাহার

১৫

আন্দোলনে নিহত ৩ যুবকের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ

১৬

মালয়েশিয়ায় আরও জনশক্তি পাঠাতে সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি

১৭

সিলেটে পিকআপ চাপায় প্রাণ গেল পুলিশ কর্মকর্তার

১৮

খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

১৯

চবির হলে আসন বরাদ্দে বৈষম্য, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

২০
X